ফারজানা রহমান ( farzana rohman)

প্রথম পাতা » জীবনী » ফারজানা রহমান ( farzana rohman)


 ফারজানা রহমান


ফারজানা রহমান     ১৯৭৩ সালের ১২ই জানুয়ারি খুলনা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যাবসায়ী বাবা বজলুর রহমান এবং খুলনা বেতারের সংগীত শিল্পী মা সাহিনা রহমানের প্রথম সন্তান তিনি। পরিবার ও বন্ধুদের মাঝে সেতু নামে পরিচিত। ১৯৯৮ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী আকতার মাহমুদের সাথে। অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে অধ্যাপনা করছেন। তাঁর দুই সন্তান বড় মেয়ে ফারহিন মাহমুদ এবং ছোট মেয়ে ফারজিন মাহমুদ। তাঁর ছোট ভাই সাব্বির ফয়সাল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন আর ছোট বোন ফারহানা রহমান ডাক্তার।

শিক্ষা ও কর্মজীবন: ১৯৮৯ সালে খুলনা করোনেশন স্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৯১ সালে খুলনা সুন্দরবন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ১৯৯৬ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যলয় এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৯৬ সালে স্নাতক পাশ করার সাথে সাথে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রজেক্টে GIS (Geographic Information System) Assistant হিসাবে কাজ শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে শেলটেকের তত্ত্বাবধানে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাস্টার প্যান প্রজেক্টে অল্প কিছুদিন কাজ করেন। ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে একটি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিতে যোগদান করে ২১ বছর কাজ করেন। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। ২০১০ সালে ছোট মেয়ে জন্মগ্রহণের আগে, তিনি তার অফিসকে নারী মাতৃত্বকালীন ছুটির ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোর উদাহরণ টেনে কতকগুলো যুক্তি দাঁড় করিয়ে বোঝাতে সক্ষম হন যে, বাঙালি নারীরাও এই সুযোগটা গ্রহণ করতে পারেন । তার যুক্তি পরামর্শ, সব বিচার বিশেষণ করে কর্তৃপক্ষ ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি ঘোষণা করেন। তারপর বাংলাদেশের সংসদে বিষয়টি নিয়ে প্রস্তাবনা উত্থাপন হলে মাতৃত্বকালীন সরকারি ছুটি হিসেবে ছয় মাস কার্যকরী করা হয়; বর্তমানে চাকরিজীবী নারীরা সেই সুবিধা ভোগ করছেন।
তিনি নতুন প্রজন্মের মধ্যে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে ‘Save the Earth’ এর ধারণা (concept) থেকে প্রকাশ করেন ‘তুতি ও ফুলগাছ’ (২০১৮), ‘তুতির পার্কে ভ্রমণ’ (২০১৯), তুতি ও তার বন্ধুরা: এসো শিখি নিরাপদ সড়কের নিয়মকানুন (২০২০), ‘তুতি ও তার বন্ধুরা: আমরাই আনবো পরিবর্তন’ (২০২০), ‘তুতি ও তার বন্ধুরা: আমাদের বাগান (২০২১)’, ‘তুতি ও তার বন্ধুরা: ব্যবহার বার বার আনন্দ সবার (২০২২); তুতি ও তার বন্ধুরা:পাখির সাথে বন্ধুত্ব’( ২০২৩) ।

তথ্যসূত্র:  ২০২৩ সালে প্রকাশিত   তুতি ও তার বন্ধুরা:পাখির সাথে বন্ধুত্ব’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত।




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ