ফারুক প্রধান (faruk prodhan)

প্রথম পাতা » জীবনী » ফারুক প্রধান (faruk prodhan)


ফারুক প্রধান ১৯৮০ সালে ছড়া ও কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৯৯৩ সালে জাতীয় দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকায় জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করার সুযোগ আসে। ১৯৯৬ সালে শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে লাইব্রেরিতে যোগদান করেন। চাকুরীতে যোগদানের আগে বাঙালি সংস্কৃতির শুদ্ধ চর্চা, লালন ও প্রসারে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ জয়পুরহাট শাখার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে নিয়মিত কার্যক্রমের সঙ্গে তো বটেই, এছাড়া জেলা জুড়ে ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধকালে হানাদার পাকিস্তানির সৈন্যবাহিনী কর্তৃক শহীদদের বধ্যভূমি ও গণকবর চিহ্নিতকরণ এবং ওসব স্থানে প্রশাসন ও এলাকাবাসীকে যুক্ত করে স্মৃতিসৌধ/স্মারক নির্মাণের দীর্ঘ প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ও অংশগ্রহণকারী। একজন কবি হয়ে কাজ করে চলেছেন নিজ এলাকা, রাজধানী শহর এবং বিদেশেও। তাঁর ভাবনা ও কর্ম মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নিয়োজিত ও নিবেদিত প্রাণ। কবিতা ও নাটকের পাশাপাশি বাংলাদেশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ চলচ্চিত্র ‘স্বপ্নঘোর’ নির্মাণ করেছেন। এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে তিনি কাহিনি চিত্রনাট্য পরিচালনা অভিনয় গান ও সুর করেছেন। এই ছয়টি শাখায় তাঁর মুন্সিয়ানার ছাপ রয়েছে। এছাড়াও তাঁর লেখা কাব্যগ্রন্থ ‘জেগে উঠি নিঃসঙ্গতায়’ ২০০৭ এবং ‘বঙ্গবন্ধুর জন্য কবিতা’ বইটি ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয়। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের পথনাটক বইটি ২০১৫ সালে স্মৃতি ৭১ সংগঠন বের করে। কবিতা ও গানের অ্যালবাম ‘ভালোবাসা বায়না হবে’ ও ‘মনের টেলিফান’। পশ্চিমবঙ্গ কলকাতার গান্ধীজী অডিটোরিয়াম মানিক্য মঞ্চে অ্যালবামটির মোড়ক উম্মোচন হয় ।

তিনি ১৯৬৫ সালে দমদমা গ্রামে মা মনোয়ারা প্রধানের মাতৃকোলে জন্মগ্রহণ করেন। মোঃ আব্দুল মজিদ প্রধানের নয় ছেলে তিন মেয়ে। তিনি হলেন সাত নাম্বার ছেলে। সাহিত্য ও সংস্কৃতির অঙ্গনে ফারুক প্রধান হিসাবে পরিচিত হলেও অফিসে এবং রাজনীতিতে মালেক প্রধান হিসাবে পরিচিত।
তথ্যসূত্র: ২০২১ সালে প্রকাশিত  ‘ভালোবাসা রেডিমেট’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত।




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ