মোজাফফার বাবু   প্রগতিশীল রাজনীতিবীদ মাস্টার ইমান আলী ও শেফালী খাতুনের ঘর আলো করে ১৯৮৩ সালের ২৮ আগস্ট মোজাফফার বাবু জন্মগ্রহণ করেন। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট তিনি। পড়কি কারবালার একটি স্কুলে তার পড়ালেখায় হাতেখড়ি তিনি তৃতীয় শ্রেনি যশোর জেলা স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স থেকে হিসাববিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন। পরে ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞানে পড়ালেখা করেন। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন মোজাফফার বাবুর প্রথম কবিতা ‘ভিক্ষুক’ প্রকাশিত হয়। বর্তমানে তিনি কবিতার পাশাপাশি গল্প, নাটক ও উপন্যাস লিখে চলেছেন। সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও চর্চায় তার সংযোগ ছেলেবেলা থেকেই। ‘ঘোপ শিশু সংঘের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় স্কুল সেমিনার ক্লাবে স্বরচিত নাটক ‘একুশের ডাক’, ‘স্বাধীন বাংলা’, ‘শহীদ মিনার’ পরিচালনা ও মঞ্চায়ন করেছেন। তিনি ঢাকা ড্রামা সার্কেলের পক্ষ থেকে মহিলা সমিতির মঞ্চে নাটক করেছেন। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অফ ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স কলেজে পড়াশোনা করা অবস্থায় ছাত্র সংসদ-এর সভাপতি নির্বাচিত হন। শিল্পসংস্কৃতির মানুষ মোজাফফার বাবু ক্রীড়াতেও অর্জন করেছেন বেশ কিছু পুরস্কার এছাড়াও তিনি ভিন্ন মাত্রা মিডিয়া ভিষনের অ্যাওয়ার্ড-২০১৯, ও অন্যধারা মোজাফফার বাবু সংসদের সাহিত্য সংগঠনের বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘সম্মাননা স্মারক-২০২০’ গ্রহন করেন। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি গান বা আবৃত্তি শুনতে এবং বর্তমান বিশ্বের অবস্থা ও বিজ্ঞানের অগ্রগতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে পছন্দ করেন।

তথ্যসূত্র: .২০২৩ সালে প্রকাশিত  ‘হৃদয়ের বাতিঘর’   গ্রন্থ থেকে সংকলিত।