রিসাস ভার্চু (risus vartue)

প্রথম পাতা » জীবনী » রিসাস ভার্চু (risus vartue)


রিসাস ভার্চু (risus vartue)

রিসাস ভার্চু  জন্মগ্রহণ করেছেন ১৯৯৩ সালে, ফেনীতে। তাঁর প্রকৃত নাম আনোয়ার হোসেন। ২০১১ সালে ফেনী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার পর আর পড়াশোনা করার সুযোগ পাননি। কিন্তু মস্তিষ্কের নিউরোকারেন্টে ইলেক্ট্রিক্যাল সিগন্যাল হিসেবে প্রকাশিত মহাসম্প্রসারিত এই মহাবিশ্ব তার মনে জগৎ ও জীবনকে জানার এক অসীম আগ্রহ সৃষ্টি করে যা তাকে পুরোপুরি শূন্য থেকে মহাবিশ্বকে ভাবতে একটি শক্তিক্ষেত্র সৃষ্টি করে দিয়েছিল । মহাবিশ্বের বিজ্ঞান ও দর্শন নিয়ে রিসার মৌলিক কোনো জ্ঞান ছিল না। কিন্তু মহাবিশ্বের আদিম নিউরাল এনসাইক্লোপিডিয়ার মধ্যে অন্যতম একটি গ্যালাক্টিক এনসাইক্লোপিডিয়া সক্রেটিসের মস্তিষ্কের একটি তথ্যের সাথে একদিন তাঁর আকস্মিক যোগাযোগ হয়ে যায়, ‘নিজেকে জানো’ ।
রিসা অনেক চেষ্টা করেও মহাবিশ্বের ইতিহাস নিয়ে কোনো গ্রন্থ পাঠ করার সুযোগ পায়নি। এক বিকট হাহাকার ও শূন্যতায় তার প্রতিটি সেকেন্ড এবং প্রতিটি রাত্রি অত্যাচারিত হয়ে ছিল। কারণ, রিসা আধুনিক বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানী কারোর সাথেই সময়ে পরিচিত ছিল না এবং কখনো কোনো বিশ্বজনীন কবির কবিতাও পাঠ করেননি তিনি। প্রাতিষ্ঠানিক কিছু গ্রন্থ ছাড়া তার বুকসেলফে অন্য কোনো গ্রন্থ স্থান পায়নি যেখানে তার পড়াশুনা করাটা ছিল তখন বিপুল কষ্টসাধ্য।
রবিঠাকুর এবং আইনস্টাইন স্যারের মধ্যকার আলোচনা নিয়ে একটি ক্ষুদ্র গ্রন্থ একবার তার গ্রামের একটি মেডিকেল হলে তার প্রথম চোখে পড়ে। সেই গ্রন্থটি তিনি তুলে নিয়েছিলেন। দুই এক পৃষ্ঠা পাঠ করার পর তিনি প্রথমবারের মতো অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, এই আলোচনাটি আকস্মিক কোনো এক বিস্ময়কর উপায়ে তিনি বুঝতে পারছেন। যেন তার অন্তরের সেই ব্লারি বা দুর্বোধ মহাজাগতিক মাত্রা নিয়েই আইনস্টাইন এবং রবিঠাকুর আলোচনা করছেন।
২০১৯ সালে রিসা ফেনী ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের একজন ছাত্র হিসাবে আবার পড়াশুনা শুরু করেন। বিবর্তন যে কসমিক্যাল মোরালিটি মানব সভ্যতার মাঝে উন্মেষ ঘটিয়েছেন।

তথ্যসূত্র: ২০২০ সালে প্রকাশিত   ’ভার্চুয়াল  ব্যাংস্পেস’  গ্রন্থ থেকে সংকলিত।




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ