সৈয়দ রনো (syead rano)

প্রথম পাতা » জীবনী » সৈয়দ রনো (syead rano)


সৈয়দ রনো  (syead rano)

সৈয়দ রনো   মানিকগঞ্জ জেলাধীন ঘিওর উপজেলার হিজুলিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১ জানুয়ারি ১৯৭৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা-আলহাজ সৈয়দ আব্দুল লতিফ, হাইস্কুল শিক্ষক এবং মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী, মাতা-আলেয়ার নাহার (হাওয়া) গৃহিণী। তিন ভাই এবং পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। বাল্যকাল থেকেই তিনি সাহিত্য অনুরাগী। ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় প্রথম কবিতা প্রকাশ হয়, ‘আলোর বাণী’ পত্রিকায়। এরপর থেকে নিয়মিত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তার কবিতা, ছড়া, পদ্য, গল্প, প্রবন্ধ প্রকাশ হতে থাকে। বাংলায় এম.এ পাস করে প্রাইম ইউনিভার্সিটি থেকে এল.এল.বি পাশসহ বি.এড পাশ করেন এবং আরবি শিক্ষার আগ্রহে আলিম পাশ করেছেন। তিনি ২০১৩ সালে লোকসংস্কৃতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। নিজ এলাকায় সাহিত্য সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক সেবামূলক সংগঠনসহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত। সফল সংগঠক এবং শিক্ষা অনুরাগীও বটে। একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, আঞ্চলিক ত্রিবেণী সাংস্কৃতিক সংগঠন, নয়াচর মিতালী সংঘ, অনুশীলন সম্প্রদায়, মিশি থিয়েটারসহ বহু সংগঠনের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। জীবন সদস্য মানিকগঞ্জ জেলা ডায়াবেটিকস সমিতি। তিনি ‘অনুপ্রাস’ জাতীয় কবি সংগঠনের স্থায়ী কমিটির সদস্য। সাহিত্য সংগঠন ‘ম্যাজিক লণ্ঠন’-এর সম্পাদক এবং ‘আলপনা বৈঠক’র সাথে জড়িত। মঞ্চ নাটক লিখে এবং অভিনয় করে নব্বই দশকে সুনাম এবং সুখ্যাতি কুড়াতে সক্ষম হয়েছেন। এক যুগেরও অধিক সময় ধরে সাপ্তাহিক অন্যধারা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সমাজ সংস্কারের লক্ষ্যে সাহিত্যের বিভিন্ন ধারার বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন এবং ইতোমধ্যেই ৪০টি গ্রন্থ প্রকাশিত  হয়েছে।

তথ্যসূত্র: ২০১৪ সালে প্রকাশিত ‘ফেরারি সময়’  গ্রন্থ থেকে সংকলিত।




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ