মুহম্মদ মুজিবর রহমান (muhammad mujibor rahman)

প্রথম পাতা » জীবনী » মুহম্মদ মুজিবর রহমান (muhammad mujibor rahman)


মুহম্মদ মুজিবর রহমান  (muhammad mujibor rahman)

মুহম্মদ মুজিবর রহমান (জন্ম ১৯৪১) ঢাকার নবাবপুর গভঃ হাই স্কুল, জগন্নাথ কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। তিনি ১৯৬৪-৯৮ পর্যন্ত আই সি ডি ডি আর, বি-তে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড নিউট্রিশন শাখায় কাজ করেন এবং সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার হিসেবে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহন করেন। তার গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড ও ভারতের বিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি সৌদি আরবের দামাম সেন্ট্রাল হসপিটালের অন্তর্গত ডায়রিয়া সেন্টারের জন্য (১৯৮৪-৮৫) বায়োকেমিষ্টি ল্যাবরেটরী সন্নিবেশ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। তিনি ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিষ্টি ও নিউট্রিশনে (১৯৯৩-৯৪) বেলজিয়াম সরকারের (BADC) ফেলোশিপ নিয়ে বেলজিয়ামের ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব ল্যুভেন-এ প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন ।
তিনি স্কুল, কলেজ, ফজলুল হক হল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল, হকি, ক্রিকেট ও এ্যাথলেট দলের পক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় কৃতিত্বের সাথে অংশ গ্রহন করেন। তিনি একজন বিশিষ্ট শিশু ও ক্রীড়া সংগঠক। মুজিবর রহমান (১৯৬৩-৬৪) ঢাকা ফজলুল হক হল (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ১৯৬৪-এ ফজলুল হক হল ‘হকি-ব্লু, লাভ করেন। তিনি কচি-কাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং উদয়ন কচি-কাঁচার মেলা ও ভাস্কর কচি-কাঁচার মেলার সংগঠক ও আহবায়ক এবং কেন্দ্রীয় কচি- কাঁচার মেলার সাথীভাই (খেলাধুলা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্কুল জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করেন। তিনি ভাষা আন্দোলন, আয়ুবানের শিক্ষানীতি (২৯৬২-৬৩) বিরোধী আন্দোলন, ৭০- এর গণ অভ্যুত্থান এবং ৭১’ এর মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করেন ।
তিনি এসোসিয়েশন অব অফিসিয়াল এনালাইটিক্যাল কেমিষ্ট ইন্টারন্যাশনাল (AOAC International, USA)-এর সদস্য এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল রোজ সোসাইটির জীবন সদস্য। তিনি একজন সক্রিয় রোটারীয়ান এবং মতিঝিল রোটারী ক্লাবের পাষ্ট প্রেসিডেন্ট (১৯৯৭-৯৮) এবং ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আজাদ স্পোটিং ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ।
তিনি ইত্তেফাক, সাপ্তাহিক রোববার, সংবাদ, জনজষ্ঠ, ডেইলী ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকায় বিভিন্ন বিষয়ে লিখে থাকেন। তিনি ওয়ার্কসপ, প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন সম্মেলন উপলক্ষে ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপাল, সৌদি আরব, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানী, ইংল্যান্ড আমেরিকা, কানাডা ও মিশর প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেছেন । তিনি ১৯৮৫ সালে হজ্জব্রত পালন করেন ।
তার পিতা মরহুম মোঃ হাতেম আলী ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। স্ত্রী তানিয়া চৌধুরী ১৯৯৯-এ ক্যান্সারে মৃত্যু বরণ করেন। একমাত্র সন্তান নাজমীন সুলতানা রত্না সরকারী কলেজের প্রভাষক। তার দুই নাতনী, এষা ও নুশা।

তথ্যসূত্র: ২০০৯  সালে প্রকাশিত  ‘মিশর কাহিনী’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত।




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ