পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় (Pulak Bandyopadhyay)

প্রথম পাতা » জীবনী » পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় (Pulak Bandyopadhyay)


পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়

পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়
(জন্ম: ২ মে ১৯৩৪ - মৃত্যু: ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯)

প্রথিতযশা ভারতীয় বাঙালী সুরকার ও গীতিকার ছিলেন।[১] এছাড়াও, বাংলা চলচ্চিত্র জগতে তার ভূমিকা অপরিসীম ছিল।[

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন
পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম হাওড়ার সালকিয়ায়। পিতা নির্বাকযুগের অভিনেতা কান্তিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শৈশবকাল কাটে হাওড়ায়। সেখানকার অ্যাংলো সান্সক্রিট স্কুলের ছাত্র ছিলেন তিনি। কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স নিয়ে বি.এ.পাশ করেন। তার পরিবারের শিল্পধর্মী কর্মকাণ্ডের সাথে শৈশবেই নিবিড় সম্পর্ক ছিল। নাটক, সাহিত্য ও সঙ্গীতকলায় তার আত্মিক সম্পর্ক ছিল। মাত্র সতেরো বছর বয়সে চলচ্চিত্র পরিচালক সরোজ মুখোপাধ্যায়ের ‘অভিমান’ ছবিতে প্রথম গান লেখেন।

কর্মজীবন
বাংলা গানের প্রায় সব প্রতিষ্ঠিত শিল্পীই তার লেখা গান গেয়েছেন । এইচ.এম.ভি. এবং আকাশবাণীর গীতিকারদের নিয়ে বিতর্কের সময় তিনি কিছুদিন প্রিয়ব্রত ছদ্মনামটি ব্যবহার করেন। আধুনিক গানের ক্ষেত্রে একটা সময়ের পর থেকে মান্না দে এবং পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় এক সফল জুটি হয়ে ওঠেন। মান্না দের গাওয়া প্রেমের গান অধিকাংশই তার রচনা। পঞ্চাশ বছরের উপর তিনি যা গান লিখেছেন তার সংখ্যা চার হাজারেরও বেশি। [৩] সঙ্গীতের বিভিন্ন শাখায় কাজ করেছেন। ১৯৬০-এর দশক থেকে ১৯৭০-এর দশক পর্যন্ত বাংলা চলচ্চিত্র জগতে সঙ্গীতের সুরমূর্ছনায় সমৃদ্ধি আনয়ণে স্বকীয় ভূমিকা রাখেন।[৪] হেমন্ত, মান্না দে, গীতা দত্ত, লতা, আশা, হৈমন্তী, শ্যামল, ভূপেন, প্রতিমা, উৎপলা, অরুন্ধতী, সতীনাথ, অনুপ, আরতী মুখোপাধ্যায়সহ অনেক জ্ঞানী-গুণী শিল্পী তার সুরোরোপে গান গেয়েছেন।[২][৫] ১৯৬৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘শঙ্খবেলা’ চলচ্চিত্রে তার সুরোরোপিত গান আজও শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। লতা ও মান্নাদে’র দ্বৈত গান ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’ এবং লতা’র কণ্ঠে ‘আজ মন চেয়েছে’ চলচ্চিত্রটিকে ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়। এছাড়াও, ১৯৬৯ সালের ‘প্রথম কদম ফুল’ চলচ্চিত্রের জন্য ‘আমি শ্রী শ্রী ভজ হরি মান্না’ গান রচনা করেন। এছাড়া “সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল”,”গাছের পাতায় রোদের ঝিকিমিকি”,নিঝুম সন্ধ্যায় ক্লান্ত পাখীরা”,”খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার” বাংলা ছবির এরকম বহু স্মরণীয় গানের গীতিকার তিনি । আধুনিক বাংলা গানের কথাও তার রচনাশৈলীর গুণে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। মান্না দের গাওয়া তার লেখা “মা” গানগুলিও বিশেষ উল্লেখযোগ্য । গান লেখার পাশাপাশি তিনি উপন্যাস,চিত্রনাট্য ও ছড়া লিখেছেন । তার লেখা গানের সংকলন ‘আমার প্রিয় গান’, ছড়ার সংকলন ‘বাহাত্তুরে’,গল্প সংকলন ‘শেষ সংলাপ’। ‘কথায় কথায় রাত হয়ে যায়’ তার আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ ।

মৃত্যু
৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে তার দেহাবসান ঘটে। হুগলী নদীতে লঞ্চ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

তথ্যসূত্রঃ   উইকিপিডিয়া,




আর্কাইভ