লুৎফা জালাল(জীবনী)

প্রথম পাতা » জীবনী » লুৎফা জালাল(জীবনী)


 লুৎফা জালাল

নারায়ণগঞ্জ জেলার মদনগঞ্জে ১৯৬০ই সনের ২৫ মার্চ আলহাজ্ব লুৎফা জালাল জন্মগ্রহণ করেন। পিতা সাহাবুদ্দিন চৌধুরী, মাতা দৌলতুন্নেছা। নারায়ণগঞ্জের ষাট দশকের কবি ও নাট্যকার মুঃ জালাল উদ্দিন নলুয়া’র সহধর্মিনী। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘আগামীকাল’ ম্যাগাজিনে তাঁর প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় আশি দশকের প্রথম দিকে। ১৯৮৫ ইং সনে ঢাকা থেকে প্রকাশিত অনিয়মিত সাহিত্যপত্র ‘ঝুমুর” এর তিনি সহসম্পাদক ছিলেন। নব্বই দশকে প্রকাশ করেন ‘অলংকার’ নামক কাব্যগ্রন্থ। প্রান্ত প্রকাশন থেকে ‘বেলা শেষের তারা এবং জীবন থেমে থাকে না’ উপন্যাস দুটি প্রকাশ করেন এবং ঊষার দুয়ার থেকে প্রকাশিত হয় বিচিত্র গানের গ্রন্থ ‘জীবনের কথা ও গান’ এবং সম্পাদনা করেন নাট্যকার মুঃ জালাল উদ্দিন নলুয়ার নাট্যগুচ্ছ”। “অন্তরে তোরে রাখি’ গানের ক্যাসেট খুব শীঘ্রই বের হতে যাচ্ছে। ভারতের মল্লিক ব্রাদার্স। থেকে প্রকাশিত প্রাবন্ধিক রুহুল আমিন বাবুল রচিত ‘ছড়ার। বাংলাদেশ গ্রন্থে তাঁর ছড়া আলোচিত হয়েছে ১৯৯৫ইং সনে। সম্প্রতি ভারত থেকে প্রকাশিত অধ্যাপক ডঃ সৈয়দা তানভির নাসরিন সম্পাদিত দুই বাংলার মহিলা কবিদের লেখায় সমৃদ্ধ। “কণ্ঠস্বর” গ্রন্থে তার একাধিক কবিতা ছাপা হয়েছে। ড.শহীদুল্লাহ আনসারী সম্পাদিত ‘একুশ কবি ষোল পংক্তি’ নামক কাব্যগ্রন্থে তাঁর জীবনীসহ একগুচ্ছ কবিতা প্রকাশিত হয়েছে ২০০২ইং সনে। গবেষক অনুপম হায়াৎ ‘নারায়ণগঞ্জ জেলার লেখক-সাহিত্যিক প্রবন্ধে তাঁর বিষয়ে কবি হিসেবে আলোচন করেছেন ২০১৫ই সনে। ডাঃ সৈকত আসগর তাঁর ‘নারায়ণগঞ্জ জেলার লোকসাহিত্য গ্রন্থে” মুঃ জালাল উদ্দিন নলুয়া’র ‘ঐতিহ্যের সিঁড়ি বেয়ে’ গ্রন্থের প্রকাশক হিসেবে আলোচিত হয়েছেন। তিনি মৃত্তিকা পদক-২০১২ (ছড়াকার),সিলেটের ‘বাসিয়া প্রকাশনা কবি গীতিকার সম্মাননা (২০১৮), সিলেটের গাঙচিল সংগঠন থেকে কবি ছড়াকার সম্মাননা (২০১৮) এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার এম.এ. কুদ্দুস শ্রেষ্ঠ মা-২০১২ইং এবং দি ইঞ্জিনিয়ার্স রত্নগর্ভা মা ২০১৯ পদক লাভ করেন। তিনি বাংলা একাডেমি’র একজন সদস্য এবং দুই বাংলার কবি।

তথ্যসূত্র .২০১৬ সালে প্রকাশিত  জীবনের কথা ও গান  গ্রন্থ থেকে সংকলিত।




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ