সুভাষ চন্দ্র সুত্রধর ( subhash chandra sutradhar )

প্রথম পাতা » জীবনী » সুভাষ চন্দ্র সুত্রধর ( subhash chandra sutradhar )


সুভাষ চন্দ্র সুত্রধর

সুভাষ চন্দ্র সুত্রধর

জন্ম:  ১৯৭৫ সালের ১০ অক্টোবর টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের সুরুজ গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা স্বর্গীয় নেরুমোহন সূত্রধর এবং মাতা স্বৰ্গীয়া নয়নতারা সূত্রধর।

শিক্ষা ও কর্ম জীবন: সুভাষ চন্দ্র সূত্রধর টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের বি.এস বিশ্বেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি (১৯৯০), করটিয়া সাদাত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে (১৯৯২) এবং ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ের উপর অনার্স (১৯৯৫) ডিগ্রি ও একই বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী (১৯৯৬) এবং পুরান ঢাকার আগামসীহ লেনের সিটি ল কলেজ থেকে আইনের উপর এল - এল. বি ডিগ্রি (২০০২) অর্জন করেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।

পারিবারিক জীবন  : তার সহধর্মিণীর নাম ঝর্ণা রাণী বিশ্বশর্মা। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের উপর অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে একজন গৃহিণী। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই ছেলে আদিত্য সূত্রধর ও অনিক সূত্রধর। বড় ছেলে আদিত্য সূত্রধর পুরান ঢাকার সেন্টগ্রগরি স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির এবং ছোট ছেলে ঢাকার নারিন্দা সরকারি হাই স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্র।

বর্তমান লেখাটির পটভূমি ও অন্যান্য লেখা : সুভাষ চন্দ্র সূত্রধর তার লেখালেখির সূত্রপাত ছোট বেলা থেকে থেকেই। কিন্তু সেগুলোর কোনটিই প্রকাশনার মুখ দেখে নি। তাই কালের গর্ভে সেগুলো হারিয়ে গেছে। স্কুলের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিশেষ করে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি ও উপস্থিত বক্তৃতায় তিনি ছিলেন বেশ পারদর্শী এবং বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু পুরস্কারও পেয়েছেন। তবে তা সবই ছিল সীমিত পরিসরে। সাংসারিক নানা টানাপোড়েনে তার বড় পরিসরে কিছু করার ওঠেনি। । তার বর্তমান এ লেখাটি তিনি শুরু করেন ২০১৯ সালে করোনা সময়কালে সারা বিশ্ব যখন করোনা মহামারির যাতনায় বিপর্যস্ত, জনমনে চা শঙ্কা ভাড়া করে বেড়াচ্ছে ঠিক তখন সবার মতো তিনিও সেই অজানা শঙ্কায় ভূগতেছিলেন। তখন তার অবচেতন মনেই জীবনের বিচিত্র রং ও ঢং নানাবিধ প্রশ্ন, অনুভূতি, আবেগ; যেগুলি তাকে বেশি নাড়া দিয়েছিল সেগুলিই তিনি তুলে আনার চেষ্টা করেছেন তার লেখনী সত্ত্বার মাধ্যমে। তিনি জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে কঠিন বাস্তবতাকে উপলব্ধি করছেন খুব কাছে থেকে এবং সেগুলিই পরবর্তীতে  তিনি তার লেখার উপজীব্য করে তুলেছেন নিখুঁতভাবে। লেখকের ছেলে বেলায় থেকেই গান শোনার প্রতি প্রবল ঝোঁক ছিল। বিশেষ করে লালনের গান, প্রসাদী গান, রবীন্দ্র সংগীত, শাহ আবদুল করিমের গান, ভবা পাগলা গান, বিজয় বৈরাগীর গান, বাউল গান এমনকি পুরোনো দিনের ভারতীয় আধুনিক বাংলা গানের প্রতি তার বরাবরই আকর্ষণ ছিল এবং বর্তমানেও আছে। মূলত এ সব গানই তাকে আধ্যাত্মবাদের দিকে নিয়ে গেছে। তাই লালন, রামপ্রসাদ, ভবা পাগলা, মনমোহন দত্ত, রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব, স্বামীজি, সক্রেটিস, রবি ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, শরৎচন্দ্র, ডা: লুৎফর রহমান বাণী ও লেখা তাকে আকৃষ্ট করে। তাই তিনি তার লেখায় বলেন জীবন হলো এক সুগভীর মায়াজাল, কেবল অদৃশ্যই জানে তার প্রকৃত চাল। ইতিপূর্বে তার চিন্তার দর্শন নিয়ে ১০০টি কাব্যিক ছন্দে লেখা প্রথম প্রকাশনা -’ কবিতার ভাষায় - ইতিহাসের পাতায়, রাজনীতি, মূল্যবোধ ও জীবন জিজ্ঞাসা!” নামে কাব্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে। এখনো তার পঞ্চাশ উর্ধ্ব লেখা প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। তার আইনের উপর লেখা প্রথম বই The Best Solution of MCQ of Advocateship / Judgeship! [এডভোকেটশীপ ও জজশীপ পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক ও ভাইবার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য বই।

তথ্যসূত্র: ২০২৪ সালে প্রকাশিত আত্নদর্শন ও আধ্যাত্নবাদ গ্রন্থ থেকে সংকলিত।




আর্কাইভ