রফিকুল ইসলাম রফিক ( rofiqul islam rofiq )

প্রথম পাতা » জীবনী » রফিকুল ইসলাম রফিক ( rofiqul islam rofiq )


রফিকুল ইসলাম রফিক

 

রফিকুল ইসলাম রফিক

দুরন্ত শৈশব আর কৈশোরে প্রকৃতির সাথে ছিল এক নিবিড় আত্মীয়তা। পাবনা অঞ্চলের সবুজে ঘেরা গ্রামীন পরিবেশে আমার বেড়ে ওঠা। অধ্যয়ন পর্ব সমাপ্ত করেছি পাবনা আর রাজশাহী থেকে। এরপর থেকেই ঢাকার ইটপাথরের সাথে বসবাস। মানুষের মনের অলিতে গলিতে বিচরণ করে অচেনাকে চিনে নেওয়ার এক আজন্ম খেয়াল, আজন্ম নেশা আমার। জানি, এ নেশার সমাপ্তি নেই। কিন্তু মানুষকে যে জেনে নিতেই হবে, চিনতেই হবে তাকে, সেই সাথে নিজেকেও। আর তারই একটি ক্ষুদ্র প্রকাশ হলো এই পঙক্তিমালা। কবি বন্দে আলি মিয়ার আসরে ছোট্ট একটি শিশুতোষ কবিতা নির্বাচিত হয়েছিল প্রাথমিকের শেষের দিকে এসে। শুরুটাও সেখান থেকেই। ব্যক্তিগত জীবনে নানা সমস্যায় জর্জরিত মানুষের জীবনকে কবিতার স্বপ্নীল জগত কিছুক্ষণের জন্য হলেও তাকে স্বপ্নালোকে ভ্রমণ করিয়ে দেয়। কল্পনার সুখস্বপ্নে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ দেওয়ার এবং তাদের মধ্যে জীবনবোধ জাগ্রত করার দায়বদ্ধতার একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস এই কবিতাগ্রন্থ। যদিও সহজ কথা যায় না বলা সহজে’- কবিগুরুর সেই কথা মেনে নিয়েই সামান্য কিছু সহজ কথা আমার এই কাব্যগ্রন্থে। প্রেম-প্রকৃতি-মানুষ এই ত্রিধারা মিলেমিশে একাকার হয়েছে আমার এই গ্রন্থে। এদেরকে আলাদা করে রূপ দেবার চেষ্টা যেন তাদের রহস্যকে আর ও ঘনীভূত করে। প্রকৃতির এক অপার রহস্য যে নারী সেই নারীকে ঘিরেই আবর্তিত হয় নরের অধিকাংশ সৃষ্টিকর্ম। অবশ্য নারীর হাতেও কলম চলছে সমানতালে, নরের স্বরূপ উন্মোচনে। কখনও কলমে কলমে মিল, কখনও দ্বন্দ। সেখানেই আরো রহস্য। তারা কি খুঁজে পেল প্রেমের সেই ঐন্দ্রজালিক রূপের সন্ধান- যার মায়ায় ছুটছে প্রকৃতির এই সন্তান দুটি?

তথ্যসূত্র: ২০২৪ সালে প্রকাশিত  অনিন্দিতা  গ্রন্থ থেকে সংকলিত।




আর্কাইভ