মোস্তাফিজুর রহমান রেমন্ড ( mustafizur rahman raymond )
প্রথম পাতা » জীবনী » মোস্তাফিজুর রহমান রেমন্ড ( mustafizur rahman raymond )মোস্তাফিজুর রহমান রেমন্ড
১৯৮১ সালে জন্মেছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার চন্ডীবের গ্রামের ঐতিহ্যবাহী সরকার বাড়িতে। পিতা মরহুম বাদল সরকার ও মাতা তৌহিদা আক্তারের তিন সন্তানের মধ্যে সবার বড়। শৈশব ও কৈশোর কাটে নানার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চাউড়া সাহেব বাড়িতে। ছাত্রজীবনে তিনি মেধার স্বাক্ষর রাখেন প্রতিটি পরীক্ষায়। প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিলাভ করেন। ১৯৯৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় স্টারমার্কসহ ১ম বিভাগে পাস করে ভর্তি হন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে এবং সেখান থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নানতকোত্তর শেষ করে যোগ দেন শিক্ষকতা পেশায়। বর্তমানে হিসাববিজ্ঞানের প্রভাষক হিসাবে কর্মরত আছেন ঢাকার স্বনামধন্য ক্যামব্রিয়ান কলেজে। সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ তৈরি হয় বাবার সাহিত্যকর্ম থেকে। তিতাস পাড়ের সবুজ, শ্যামল, সুন্দর গ্রাম আর প্রকৃতিতে বেড়ে ওঠায় তার লেখায় প্রকৃতির প্রভাব যেমন রয়েছে, তেমনি নজরুলের ভক্ত হিসাবে তিনি কলম ধরেছেন শোষণ আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে। ৫ম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় প্রথম কবিতা স্থান পায় স্কুল ম্যাগাজিনে। পরবর্তীতে নিয়মিত লিখলেও অপ্রকাশিতই থেকে যায় তার সাহিত্যকর্ম। ছাপার অক্ষরে তার দশটি কবিতা প্রথম প্রকাশিত হয়। যৌথ কাব্যগ্রন্থ “রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ” তে। এরপর তার প্রথম গল্প ছাপা হয় মাসিক “সাহিত্য স্পন্দন” ম্যাগাজিনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত লেখালেখি করা ছাড়াও তিনি সম্পাদনা করেছেন বেশ কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ ও গল্পগ্রন্থ। তার সম্পাদিত প্রথম যৌথ কাব্যগ্রন্থ “অতৃপ্ত আর্তনাদ” প্রকাশিত হয় ২০২১ সালের একুশে বইমেলায়। উক্ত গ্রন্থে তারুণ্যের কবি রেজাউদ্দিন স্টালিনসহ দেশবরেণ্য গুণী কবিদের সাথে তার নিজের ১০টি কবিতা প্রকাশিত হয়। তার উল্লেখযোগ্য যৌথ কাব্যগ্রন্থ “আমার প্রেম, তোমার জন্য কবিতা”; “কণ্ঠস্বরের গল্প কবিতা”; ও গল্পগ্রন্থ “সাদাকালো মেঘের জীবনগল্প” উল্লেখযোগ্য।
ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। মেয়ের অনুরোধেই মনোযোগী হন শিশুতোষ লেখায়। এরই ধারাবহিকতায় তার একক ছড়াগ্রন্থ “ছড়ার দেশে বেড়াই ভেসে” প্রকাশিত হচ্ছে একুশে বইমেলা - ২০২৪ এ। লেখালেখি ছাড়াও তিনি বই পড়তে, আবৃত্তি করতে ভ্রমণ করতে ও গান শুনতে ভালোবাসেন।
তথ্যসূত্র: ২০২৪ সালে প্রকাশিত “ছড়ার দেশে বেড়াই ভেসে” গ্রন্থ থেকে সংকলিত।