মাহ্ফুজা আহমেদ ( mahfuza ahmed )
প্রথম পাতা » জীবনী » মাহ্ফুজা আহমেদ ( mahfuza ahmed )মাহ্ফুজা আহমেদ
পিতা- মৃত মহিউদ্দিন আহমেদ (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী)। মাতা- জেব-উন নিসা আহমেদ (নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যলয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা), স্বামী- মোঃ মোজাহার আলী শোভা (জেলা মুন্সীগঞ্জ, গ্রাম মদনখালী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক)। কবির ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বড় হয়ে ওঠা। তিনি ১৩ই এপ্রিল ১৯৬১ইং সালে খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা জেলার দোহার থানা, গ্রাম লটাখোলা বড়বাড়ি (আদি নিবাস) ও নবাবগঞ্জ থানা, গ্রাম কাশিমপুর কবির পৈত্রিক নিবাস। ১৯৭৭ইং সালে নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি প্রথম বিভাগে পাশ করেন। ১৯৭৮-৭৯ইং শিক্ষাবর্ষ দোহার নবাবগঞ্জ কলেজে পড়াশোনা করেন। তিনি ১৯৭৮ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং স্বামীর ও নিজের একাগ্র আগ্রহে ১৯৯৭ইং সালে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন। তিনি এক পুত্র ও তিন সন্তানের সার্থক জননী। সন্তানেরা নিজ নিজ পরিমন্ডলে প্রতিষ্ঠিত।
কবি ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করেন। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ “আমি সুদূরের পিয়াসী”, “শ্রাবণ অভিসার” ও “যে প্রেম নীরবে কাঁদে”। তন্মধ্যে “শ্রাবণের অভিসার” ভিন্নমাত্রা এবং “যে প্রেম নীরবে কাঁদে” কবি ও কবিতার ভুবন সংগঠন থেকে সেরা কাব্যগ্রন্থ হিসাবে পুরস্কৃত হয়। “যে প্রেম নীরবে কাঁদে” কাব্যগ্রন্থটি কলকাতা ১৭টি রাজ্য থেকে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে। তিনি সম্পাদনা করেন ১) জ্যোত্স্না বৃষ্টি, ২) হৃদয় পারাপারের সাঁকো ৩) অদীপ সাঁঝে প্রদীপ শিখা ৪) নিঃসঙ্গতার কান্না। এবং ১৩টি যৌথ কাব্যগ্রন্থ: ১) জ্যোৎস্না বৃষ্টি ২) হৃদয়ের অশ্রু কথা, ৩) কবি কঙ্কণ, ৪) সিনথিয়ায় এক ঝাঁক তারা, ৫) হিরন্ময় কাব্যের বেলা ভূমি, ৬) বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ, ৭) কাব্যের ভেলা, ৮) কাব্যের নোঙর, ৯) মানচিত্রের বিনিদ্র রজনী, ১০) কবিত- াগুচ্ছ, ১১) শত কবির কাব্য কথা, ১২) শিশিরে ভেজা কার্ণিশ, ১৩) করোনাক্রান্তি, ১৪) মনুষ্যত্বের প্রতিবিম্ব, ১৫) হৃদয়ের স্বপ্নকাব্য, ১৬) স্বপ্নের ডানায় কাব্য, ১৭) সীমান্ত বন্ধন, ১৮) কাব্য প্ৰজন্ম ।
লেখালেখি ও সাংস্কৃতি চর্চার কারণে তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার এবং বাংলা কবিত- াঙ্গন সংগঠন থেকে “জাতীয় মননের কবি আল মাহমুদ আজীবন সন্মাননা” ও “কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ” সন্মাননা স্মারক, গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ থেকে “মহিউদ্দিন স্মৃতি স্মারক আজীবন সদস্য সন্মাননা” তে ভূষিত হয়েছেন। এই পর্যন্ত তিনি এক শতাধিক অনলাইন সন্মাননায় ভূষিত হন।
তথ্যসূত্র: ২০২৪ সালে প্রকাশিত শূন্যের ভিতরে ঢেউ গ্রন্থ থেকে সংকলিত।