আবুল হাসান(জীবনী)

প্রথম পাতা » জীবনী » আবুল হাসান(জীবনী)


আবুল হাসান
অকাল প্রয়াত, স্বাধীনতা আন্দোলন ও পরবর্তী উত্তাল দিনগুলোর বোহেমিয়ান আর তরুণ প্রজন্মের প্রিয় কবি আবুল হাসানের জন্ম মাতুলালয়, বর্নিগ্রাম, টুঙ্গীপাড়া, গোপালগঞ্জ, ৪ আগস্ট, ১৯৪৭। পৈতৃক নিবাস ঝনঝনিয়া গ্রাম, নাজিরপুর, পিরোজপুর। সাংবাদিক। আসল নাম আবুল হোসেন মিয়া। আবুল হাসান তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম। পুলিশ অফিসার আলতাফ হোসেন মিয়া তাঁর পিতা। ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি স্কুল থেকে। দ্বিতীয় বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন (১৯৬৩) ও বরিশাল ব্রজমোহন সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান শাখায় দ্বিতীয় বিভাগে ইন্টারমিডিয়েট (১৯৬৫) পাস করেন। অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে বি.এ. অনার্স ক্লাসে ভর্তি হন। বি.এ. সাবসিডিয়ারি পরীক্ষার পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ। এখানেই প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখার পরিসমাপ্তি। ১৯৬৯-এর প্রথম দিকে দৈনিক ‘ইত্তেফাক’ পত্রিকার বার্তা বিভাগে চাকরি গ্রহণ। ‘গণ বাংলা’র সহকারী সাহিত্য সম্পাদক (১৯৭২-১৯৭৩), দৈনিক ‘জনপদ’-এর সহকারী সম্পাদক (১৯৭- ১৯৭৪), দৈনিক ‘গণকণ্ঠ’- এর সহ-সম্পাদক (১৯৭৪) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একজন সৃষ্টিশীল কবি হিসেবে খ্যাত। মাত্র এক দশক কাব্য-সাধনা করে আধুনিক বাংলা কাব্যের ইতিহাসে বিশিষ্ট স্থান অধিকার করেন। আত্মগত দুঃখবোধ, মৃত্যুচেতনা, বিচ্ছিন্নতাবোধ, নিঃসঙ্গচেতনা, স্মৃতিমুগ্ধতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আবুল হাসানের কবিতায় সার্থকভাবে প্রতিফলিত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ‘রাজা যায় রাজা আসে’ (১৯৭২), ‘যে তুমি হরণ করো’ (১৯৭৪) ও ‘পৃথক পালঙ্ক’ (১৯৭৫)। তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর কাব্যনাট্য ‘ওরা কয়েক জন’ (১৯৮৮) ও (১৯৯০) প্রকাশিত। ১৯৭০-এ এশীয় কবিতা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার। কবিতায় মরণোত্তর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৫) ও বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত একুশে পদক (মরণোত্তর)- ১৯৮২ লাভ। মৃত্যু ঢাকা, হৃদরোগে, ২৬ নভেম্বর, ১৯৭৫।




আর্কাইভ