দেবেশ চন্দ্র সান্যাল(কিশোর বীর মুক্তিযোদ্ধা) (Debesh Chandra Sanyal)
প্রথম পাতা » জীবনী » দেবেশ চন্দ্র সান্যাল(কিশোর বীর মুক্তিযোদ্ধা) (Debesh Chandra Sanyal)
জন্ম তারিখঃ ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৮।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুিক্তযোদ্ধা। পেশায় তিনি সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর ম্যানেজার / সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার হলেও কিশোর বীর মুিক্তযোদ্ধা হিসেবে খ্যাত।
জাতীয়তা: বাংলাদেশী।
জন্ম ও শিক্ষা জীবন ঃ
দেবেশ চন্দ্র সান্যাল সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের রতন কান্দি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম দ্বিজেন্দ্র নাথ সান্যাল এবং মায়ের নাম নাম নিলীমা সান্যাল। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে তার অবস্থান তৃতীয়। তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে। তাঁর দুই নাতিন ও দুই নাতি। দেবেশ চন্দ্র সান্যাল ১৯৮২ সালে নিভা রানী মন্সুীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি ১৯৭৪ সালে এস.এস.সি ও ১৯৭৯ সালে বি.কম পাশ করেন। ১৯৮৪ সালে সংস্কৃতে উপাধী (কাব্যতীর্থ) পাশ করেন। তিনি ১৯৭১ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার রতন কান্দি আদর্শ নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধর শুরু হলে তিনি অংশ গ্রহণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। তদানীন্তন বৃহত্তর পাবনা জেলার বিভিন্ন প্রতিরোধ যুদ্ধে সহযোগিতা করেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রবল আক্রমণে পাবনা জেলার বিভিন্ন প্রতিরোধ ভেঙ্গে পড়ে। তখন তিনি ভারতে গিয়ে মুিক্তযুদ্ধের প্িরশক্ষণ নিয়ে একটি গ্রুপে যোগদান করেন। তিনি ৭ ন¤র^ সেক্টর হেড কোয়ার্টার ভারতের তরঙ্গপুর থেকে অস্ত্র ও গোলাবরুদ নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে একটি গেরিলা গ্রুপের একজন সদস্য হিসেবে ৩ টি হিট এন্ড রান, ১টি পাকিস্তানি সৈন্য ও রাজাকারদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধ করার জন্য এ্যা¤ুস^ ও ৩টি পাকিস্তানি সৈন্য, পুিলশ ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন। তিনি ১৯৮০ সাল হতে ২০১৮ পর্যন্ত সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর বিভিন্ন শাখায় ম্যানেজার/ সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে ও প্রিন্সিপাল অফিস, সিরাজগঞ্জে সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ঃ
১৯৭১ সালে জুলাই মাসে তিনি মুিক্তযুদ্ধের ট্রেনিং- এর জন্য ভারতে চলে যান। ভারতের কামার পাড়া ইয়থু ক্যাম্পে ভর্তি হন। কামার পাড়া ইয়ুথ ক্যাম্প, কুড় মাইল, মালঞ্চ ও পতিরাম প্রাথমিক মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে কয়েক দিন প্রশিক্ষণ হয়। তার পর দাজির্লিং জেলার শিলিগুড়ি মহকুমার পানি ঘাটা নামক ইন্ডিয়ান আর্মি ট্রেনিং ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। পানি ঘাটা হায়ার টে্িরনং ক্যাম্পে ২১ দিনের প্রশিক্ষণ হয়। থ্রি-নট থ্রি রাইফেল, এল.এম.জি, এস. এল.আর, ষ্ট্রেন গান, হ্যান্ড গেনেড, এক্সপ্লোসিভ ও প্রশিক্ষণ হয়। তিনি ৩টি হিট
এন্ড রান, ১টি পাকিস্তানি সৈন্য ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য এ্যা¤ুস^ ও ৩টি পাকিস্তানি সৈন্য, পুলিশ ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর অংশ গ্রহন করা এ্যা¤ুস^ ও যুদ্ধ গুলো হলো :- (১) বেলকুচি থানা আক্রমণ যুদ্ধ (২) কল্যাণপুর যুদ্ধ (৩) শাহজাদপুর উপজেলার ধীতপুর নাম স্থানের যুদ্ধ (৪) কালিয়াহরিপুর রেলওয়ে ষ্ট্রেশন পাকিস্তানি সৈন্য ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ করার জন্য এ্যা¤ুস^।
পুরস্কার ও সম্মাননা।
তিনি বেসরকারী তিনটি সংস্থার পুরস্কার ও সম্মাননান পেয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের ভুমিকা ঃ
দেবেশ চন্দ্র সান্যাল একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১৯৭১ সালে ৭ নং সেক্টরের অধীনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন। লেখা লেখি। তিনি বিভিন্ন পত্রিকা ও বইতে ধমর্ ও মুিক্তযুদ্ধ বিষয়ে লেখা লেখি করে থাকেন। দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক বাংলা-৭১, মাসিক সমাজ দর্পন, মাসিক শ্রী শ্রী গৌরবানী, মাসিক ভারত বিচিত্রা ও মাসিক নিরীক্ষা সহ বিভিন্ন পত্রিকা ও বইতে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবেশ চন্দ্র সান্যাল ঃ
পিতা:দ্বিজেন্দ্র নাথ সান্যাল,মাতা:নিলীমা রানী সান্যাল, গ্রামও ডাকঘর: রতন কান্দি,ইউনিয়ন: হাবিবুল্লাহনগর,উপজেলা: শাহজাদপুর , জেলা: সিরাজগঞ্জ।গেজেট নং-বে-সামরিক সিরাজগঞ্জ-১৬৭৯। ভারতীয় প্রশিক্ষণ - এফ.এফ. নং-৪৭৪২। সমন্বিত তালিকা জেলা ভিত্তিক -১৪১১ , উপজেলা ভিত্তিক-১৫১ ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিষ্টেম, ডিজিটাল.