সানাউল হক(জীবনী)

প্রথম পাতা » জীবনী » সানাউল হক(জীবনী)


সানাউল হক

সানাউল হক এর জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় চাউড়া গ্রামে ২৩ মে ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে।১ ৯৩৯-এ ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নন্দা হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক ও ১৯৪১-এ ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আই.এ. পাস করেন। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ. অনার্স (অর্থনীতি) এবং ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে এম.এ. (অর্থনীতি) ডিগ্রি লাভ করেন। কিছুকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপনা করেন। অতঃপর পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাস করে সরকারি প্রশাসন বিভাগে চাকরিতে যোগদান করেন। কালক্রমে উপ-সচিব, যুগ্ম-সচিব ও সচিব পদে উন্নীত হন। বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পদে দায়িত্ব পালন করেন। সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করার পর সুপ্রিম কোর্টে আইন ব্যবসায় যোগদান করেন। বাংলা একাডেমি কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচিত সদস্য (১৯৭৯- ১৯৯০) হন । প্রখ্যাত কবি। প্রেম, নিসর্গ, স্বদেশ ও বিভিন্ন সূক্ষ্ম মানসিক অনুভূতিকে কেন্দ্র করে তাঁর কবিকল্পনা বিকশিত হয়। নদী ও মানুষের কবিতা (১৯৬৫), সম্ভবা অনন্যা (১৯৬২), সূর্য অন্যতর (১৯৬৩), বিচূর্ণ আর্শিতে (১৯৭৩), একটি ইচ্ছা সহস্র পালে (১৯৭৩), কাল সমকাল (১৯৭৫), পদ্মিনী শঙ্খিনী (১৯৭৫), প্রবাস যখন (১৯৮১), বিরাশীর কবিতা (১৯৮৩), উত্তীর্ণ পঞ্চাশে (১৯৮৪), তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘বন্দর থেকে বন্দরে (১৯৬৪) সানাউল হকের ভ্রমণ বৃত্তামূলক রম্যরচনা প্রবন্ধ ‘ইচ্ছা ব্যাপ্ত আনন্দ (১৯৭২), তিনি সিতারা-ই-কায়েদে আজম খেতাব (১৯৬৪), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৪) পান, ইউনেস্কো পুরস্কার (১৯৬৯) ও একুশে পদক (১৯৮৩) লাভ করেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনা, অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধ ও মুক্তবুদ্ধির ধ্যান ধারণা বিকাশের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। তাঁর মৃত্যু ঢাকা, ৪ মে. ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে।




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ