নূরুননাহার (তুলি) (Nurun Nahar Tuli)

প্রথম পাতা » জীবনী » নূরুননাহার (তুলি) (Nurun Nahar Tuli)


 নূরুননাহার (তুলি)

কবি নূরুননাহার (তুলি) এঁর জন্ম ১৯৫৪খ্রি. সনের ১৫ আগস্ট ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটে। আদি নিবাস বিক্রমপুর। অবিভক্ত ভারতের কোলকাতা কেন্দ্রিক ব্যবসার পাট চুকিয়ে দেশ ভাগের পর ১৯৪৮ সনে তাঁর পিতা ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে স্থায়ী হন । সেখানেই তাঁর জন্ম ও বেড়ে উঠা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণে মাস্টার্স করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদপ্তরে কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। চাকুরীরত অবস্থায় ১৯৯০-৯১সনে বৃটিশ কারিগরী সহায়তার আওতায় ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে এম এস করেন, সেই সহায়তায় তিনি ফ্রান্স, জার্মানী, ইতালী, অস্ট্রিয়া, রুমানিয়া, যুগোশ্লাভিয়া, হল্যান্ড সফর করেন। সে সময় ম্যাঞ্চেস্টার ইউনিভার্সিটিতে ‘বাংলাদেশ স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন’ এর ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা; নারী ও শিশু কল্যাণ সমিতি, কিশোরগঞ্জের সাধারন সম্পাদক হিসেবে বিপুল সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিশোরগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমী সহ বহু সামাজিক সংগঠনের সাথে তিনি প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাই এসোসিয়েশন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের এলামনাই এসোসিয়েশন, প্রবীণ হিতৈষী সংঘের তিনি আজীবন সদস্য। ১৯৯৬ সনে রোটারী ইন্টারন্যাশনালের “গ্রুপ স্টাডি এক্সচেঞ্জ” এর বৃত্তি নিয়ে আমেরিকার টেক্সাস সফর করেন। ২০১০ সনে বাংলাদেশ সমাজসেবা অফিসার্স এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি পদে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবন শেষে ২০১২ সালে উপ-পরিচালক পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ২০০০ সন থেকে দীর্ঘ প্রায় কুড়ি বছর বাংলাদেশ বেতারের ঢাকা কেন্দ্র থেকে “এসো গড়ি সুখের ঘর” নামে একটা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। সীমিত সাধ্যের মধ্যে এখনো তিনি ব্যক্তিগতভাবে দুঃস্থ, এতীম, অসহায় শিশুদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর আবাসিক এলাকা ঢাকার নিকেতনে শুনিবাম ফিটনেস ক্লাব”এ তিনি একজন কার্যকরী সদস্য।
শৈশবকাল থেকেই তিনি লিখালিখি করেন। ১৯৬৭/৬৮সনে পাকিস্থানের পাঞ্জাবের একটি বাংলা পত্রিকায় প্রথম তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়। পত্র-পত্রিকায় ছাপার জন্য কখনোই কোন চেষ্টা তিনি করেননি। অত্যন্ত সংস্কৃতিমনা, উদার মনের কিন্তু প্রতিবাদী একজন মানুষ তিনি। এক পুত্র ও এক কন্যার সার্থক জননী । তাঁর কষ্ট- তিনি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারেননি; তাঁর নিজের লিখা প্রায় হাজারো কবিতা হারিয়ে ফেলেছেন, আর গান পাগল হয়েও গান গাইতে পারেন না। তিনি মনে করেন জগৎ সংসারে ভালোবাসা ছাড়া ভালো কিছু হয় না। সকল সৃষ্টির নেপথ্য শক্তি বিশ্বাসে অবিচল থেকে ভালোবাসতে পারা।

তথ্যসূত্র : ২০২৫ সালে প্রকাশিত নূরুননাহার (তুলি) রচিত ‘’ভালোবেসে অবশেষে’ গ্রন্থ ।




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ