মো. নূরুল হক

প্রথম পাতা » জীবনী » মো. নূরুল হক


 মো. নূরুল হক

দাদা- ছাবেদ আলী মুন্সি, পিতা- সাদত আলী মুন্সি, মাতা- জোহরের নেছা, গ্রাম-ধনাশী, ডাকঘর- ধনাশী, ইউনিয়ন- শিবপুর, উপজেলা- নবীনগর, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া। জন্ম তারিখ ১৯/০৪/৫৫ (মেজো ভাইয়ের ডাইরীতে সংরক্ষিত কুষ্ঠি অনুযায়ী), ২৬/০৬/৫৯ খ্রিঃ (সনদ অনুযায়ী)। ৭ ভাই, ১ বোন। ভাইদের মধ্যে ৬ষ্ঠ। শিক্ষাগত যোগ্যতা- এম এস এস (রাজনীতি বিজ্ঞান)। আরবী ও প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি যথাক্রমে- গ্রামের মক্তব ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিক শিক্ষাকালেই মেধার সাক্ষর রাখা শুরু। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ১৯৬৭ সনে বদলিকৃত প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক এর হাত ধরে উপজেলা সদরের পূর্বদিকের বিরাট গ্রাম বগডহরে চলে যান । বগডহর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সনে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় তৎকালীন বৃহত্তর কুমিল্লা (বর্তমানে- কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা) জেলায় ২৬ হাজার ছাত্রের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন। অতঃপর - ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে বিদ্যাকুট অমর হাই স্কুল এবং নবীনগর পাইলট হাই স্কুলে কিছুদিন লেখাপড়া করেন। ১৯৭১ সনের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় (১৯৭২ সনের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত) ফতেহপুর কমলাকান্ত গুরুচরণ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়া ৭ জন ছাত্রের মধ্যে তিনি একা-ই বৃত্তি লাভ করেন। এস এস সি- ১৯৭৪ খ্রিঃ, ফতেহপুর কমলাকান্ত গুরুচরণ উচ্চ বিদ্যালয়, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এইচ এস সি এবং স্নাতক- যথাক্রমে -১৯৭৬ ও ১৯৭৯ খ্রিঃ, চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ। এম এস এস (রাজনীতি বিজ্ঞান), ১৯৮১ খ্রিঃ- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ডাক বিভাগের চাকুরিতে যোগদান- ২৩/১২/১৯৮১ খ্রিঃ, ডাক বিভাগের পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রামসহ পোস্টমাস্টার জেনারেল এর কার্যালয়ে উচ্চমান সহকারি পদে। ১৯৮৮ সনে পোস্ট অফিস পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ। বিসিএস (পোস্টাল) ক্যাডারভুক্ত ০৭/০৪/২০১১ তারিখে। দীর্ঘ ৩৭ বছর ০৬ মাস ০৩ দিন চট্টগ্রামস্থ পোস্টমাস্টার জেনারেল এর কার্যালয়, চট্টগ্রাম জিপিও, কুমিল্লা পোস্টাল ডিভিশানাল অফিসসহ এর বিভিন্ন পোস্টাল সাব ডিভিশান, কুমিল্লা প্রধান ডাকঘর, কুমিল্লা ডাক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, কুলাউড়া, রাঙামাটি ও সিলেটের বিভিন্ন ইউনিটে চাকুরি শেষে সর্বশেষে ২৬/০৬/২০১৮ তারিখে সিলেট প্রধান ডাকঘরের সহকারি পোস্টমাস্টার জেনারেল (বিসিএস, পোস্টাল) পদ থেকে চাকুরি হতে চূড়ান্তভাবে অবসরে গমন।বিবাহবন্ধন- ১৬/১২/১৯৮৪। স্ত্রী- ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরস্থ মধ্যপাড়া ভাওয়াল বাড়ির হাজী সিরাজ মিঞা সওদাগরের ৩য় কন্যা রানুয়ারা বেগম। নওরোজ নূর সাকিব এবং নওফেল নূর আকিব- এই দুই পুত্রসন্তানের গর্বিত জনক তিনি। লেখায় হাতেখড়ি- ১৯৭৬ সন। চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজে অধ্যয়নকালে কলেজের ক্লাস শেষে টিউশানিতে যাবার আগে চট্টগ্রাম মুসলিম হলস্থ পাবলিক লাইব্রেরিতে কিছুটা সময় কাটানো তাঁর নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। একদিন সমসাময়িককালে বহুল প্রচারিত ‘ধানসিড়ি’ নামক মাসিক সাময়িকিটির একটি পাতায় একটি আহবান এর উপর কবি’র নজর পড়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বিখ্যাত নোয়াগাঁও গ্রামের কিছু উদ্যমী তরুণ কর্তৃক পুরান ঢাকার বংশাল রোডে প্রতিষ্ঠিত তিতাস সাংস্কৃতিক সংসদ এর উদ্যোগে অমর একুশে উপলক্ষে প্রকাশিতব্য স্মরণিকার জন্য স্বরচিত কবিতা আহবান করা হয়েছে। ছাপবে কি ছাপবে না- এমন দ্বিধান্বিতচিত্তেই যদি ছাপানো হয়, তাহলে স্মরণিকার একটি কপি যেনো লেখকের ঠিকানায় ডাকযোগে পাঠিয়ে দেয়া হয়- ‘এই অনুরোধ রেখে একুশের উপর কচি হাতে লেখা একটি কবিতা লিখে পাঠান। যার প্রথম লাইনটি ছিলো এ- রকম- ‘আঘাতের অজস্র বহ্নি বন্যায় বিলিয়ে জীবনের মায়া’। কবির অনুরোধ তিতাস সাংস্কৃতিক সংসদের সম্পাদক সাহেব রক্ষা করেছিলেন। কবির প্রথম কবিতা ছাপানো ঐ স্মরণিকার একটি কপি ঠিক-ঠিকই ডাকযোগে কবির কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে গেলো। স্মরণিকা হাতে পেয়ে কবি’র সে কী আনন্দ! এরপর দারিদ্রতাকে সঙ্গী করে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া, কিশোর প্রেমের বিরহ-ব্যথা বুকে বয়ে বেড়ানো, সংসার পাতা, চাকুরিতে ব্যস্তজীবন কাটানো- ইত্যাদি কারণে লেখা-লেখি থমকে যায়। ১৯৯৪ সনে পোস্টমাস্টার জেনারেল, পূর্বাঞ্চল এর কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকায় কবি’র ২য় কবিতা প্রকাশিত হয়। তারপর, দীর্ঘ বিরতির পর ২০১৫ সনে সিলেট পোস্টাল বিভাগ ও সিলেট প্রধান ডাকঘরের কর্মচারিদের মেধাবী সন্তানদের সংবর্ধনা উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকায় কবির ৩য় কবিতা প্রকাশিত হয়। ২০১৮ সনের জুন মাসের ২৬ তারিখে চাকুরি থেকে চূড়ান্তভাবে অবসর গ্রহণের পর থেকে কবিতা, প্রবন্ধ, নিবন্ধ লেখায় কিছুটা নিয়মিত হবার প্রচেষ্টা চলছে। যাঁদের দ্বারা উদ্বুদ্ধঃ ডাক বিভাগে চাকুরিজীবি মহাকবি কায়কোবাদ, ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক প্রখ্যাত রম্যলেখক আতাউর রহমান, সিলেট প্রধান ডাকঘরের দুই প্রিয় সহকর্মি- ১. প্রখ্যাত ছড়াকার, সাহিত্যিক জয়নাল আবেদিন জুয়েল, ২. কবি শ্যামল সোম। আর, এখন ‘গাঙচিল’ এর সদস্য হিসেবে উজ্জীবিত হচ্ছেন। “তোমাকে যেমন দেখি” হবে কবির লেখা প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ। কবি গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ এর আজীবন সদস্য।

তথ্যসূত্র: .২০২১  সালে প্রকাশিত ‘তোমাকে যেমন দেখি’  গ্রন্থ থেকে সংকলিত।




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ