মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা (জীবনী)

প্রথম পাতা » জীবনী » মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা (জীবনী)


মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা

কবি-সাহিত্যিকমাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা। মুসলিম বাঙালি মহিলা কবিদের মধ্যে তিনিই প্রথম, যিনি সনেট ও গদ্যছন্দে কবিতা লিখেছেন।শুধু তাই নয়, তার ‘পসারিণী’ কাব্যের আগে আর কোন বাঙালি মুসলিম মহিলা কবির কবিতার বই প্রকাশিত হয়নি। ‘হাইজিন’ ও ডিপ্লোমাধারী ও রন্ধন প্রণালীতে ‘লেডি কারমাইকেল ডিপ্লোমা’ পাস মাহমুদা খাতুনের জন্ম পাবনা জেলার ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর। তার পৈতৃক নিবাস কুষ্টিয়া জেলার নেয়ামতবাড়ি গ্রামে । তার পিতা খান বাহাদুর মুহম্মদ সোলায়মান ডিভিশনাল স্কুল ইন্সপেক্টর ছিলেন। মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকার শিক্ষাজীবন কেটেছে রাজশাহী মিশন স্কুল, বরিশাল ও পাবনার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। অল্প বয়স থেকেই তার সাহিত্যচর্চা শুরু হয়।বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করে পরিচিতি পান শৈশবেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও নজরুল ইসলামের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার সাহিত্য সম্মেলনে যোগদান করেছিলেন তিনি। তিনি ধার্ষিক ও কলকাতার পীর সাহেবের মুরিদ হওয়া সত্ত্বেও কুসংস্কার, পর্দা, অশিক্ষার বিরুদ্ধে চিরদিন সংগ্রাম করেছেন। ছবি আঁকা ও সঙ্গীতের প্রতি তার বিশেষ ঝোঁক ছিল। পশারিণী’ তার প্রকাশিত একটি অন্যতম কবিতার বই। এছাড়া তার মন ও মৃত্তিকা, অরণ্যের সুর বেশ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল। সাহিত্যে অনবদ্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি মৃত্যুবরণ করেন ।




আর্কাইভ