ড. আশরাফ সিদ্দিকী

প্রথম পাতা » জীবনী » ড. আশরাফ সিদ্দিকী


ড. আশরাফ সিদ্দিকী

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লোকসাহিত্যিক ও গবেষক
ড. আশরাফ সিদ্দিকী। কবি, লেখক ও গবেষক। বিশেষ করে লোকসাহিত্য গবেষক হিসেবে এ দেশে কিংবদন্তি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশেষভাবে পরিচিত একজন গৌরবদীপ্ত মানুষ। টাঙ্গাইলের এবং দেশের একজন আলোকিত ও গর্বিত মানুষ। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন তাঁর। মনে-প্রাণে তারুণ্যদীপ্ত মহাজীবন ড. আশরাফ সিদ্দিকীর জন্য ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের ১ মার্চ টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার নাগবাড়ি গ্রামের নানা বাড়িতে। বাবা আব্দুস সাত্তার সিদ্দিকী ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। তিনি ছাত্রবৃত্তি পেয়ে দশম শ্রেণিতে উঠে স্কুল বর্জন করে স্বরাজ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। পরে ঢাকা মেডিক্যাল স্কুল থেকে ডাক্তারি পাস করেন এবং এতদাঞ্চলের খ্যাতিমান চিকিৎসক হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। ন্যায়নিষ্ঠ ও সৎ ব্যক্তিত্ব হিসেবে সকল শ্রেণীর মানুষের নিকট ছিলেন ব্যাপক পরিচিত ও সমাদৃত। জনগণের দাবিতেই প্রায় অর্ধশতাব্দী কাল ইউনিয়ন পঞ্চায়েত, ইউনিয়ন বোর্ড, জুট বোর্ড, ঋণ সালিশী বোর্ডের সম্মানিত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সমাজকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্রাট ৫ম জর্জের সিলভার জুবিলি উপলক্ষে স্বর্ণপদক পান। মাতা সমিরননিসা ছিলেন নাগবাড়ির ধর্মপ্রাণ জমিদার এবাদত উদ্দিন চৌধুরীর কন্যা এবং বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর ফুপু এবং সাবেক স্পিকার আব্দুল হামিদ চৌধুরীর বোন। ড. আশরাফ সিদ্দিকী চার ভাই- বোনের মধ্যে তৃতীয় 1 শিক্ষাজীবন: ড. আশরাফ সিদ্দিকীর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় বাবার প্রতিষ্ঠিত পাঠশালায়। পরবর্তীতে ভর্তি হন এম.ই স্কুলে। চতুর্থ শ্রেণিতে বৃত্তিলাভ করেন। ময়মনসিংহ জেলা স্কুলে ভর্তি হন সপ্তম শ্রেণিতে। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ফারসি ভাষায় লেটার মার্কসসহ এই স্কুল হতে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন এবং দশ টাকা মহসিন বৃত্তি পান। বাবার ইচ্ছায় ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজে বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হন। ঐ সময় টাইফয়েড জ্বরে কয়েক মাস শয্যাশায়ী থাকতে হয়। কোলকাতার ট্রপিক্যাল হাসপাতালে প্রায় তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ভর্তি হন রিপন কলেজে, তারপর কবিগুরুর শান্তি নিকেতন বিশ্ব-ভারতীতে। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে শান্তি নিকেতন হতে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। তারপর দেশ বিভাগজনিত কারণে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে করটিয়া সা’দত কলেজে সেন্টার করে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে বাংলা সাহিত্যে অনার্স ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে পি.এইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন ফোকলোর বিষয়ে। উল্লেখ্য, এম.এ পরীক্ষায় প্রায় প্রতিটি বিষয়ে ৯০% নম্বর পাওয়ার জন্য আমেরিকার সর্বোচ্চ এবং সম্মানিত ফোর্ড ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ মঞ্জুর হয়। ফোর্ড ফাউন্ডেশনের খরচেই তিনি আমেরিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, ইরান প্রভৃতি অঞ্চলের ফোকলোর মিউজিয়ামগুলো দেখার সুযোগ পান। কর্মজীবন: ড. আশরাফ সিদ্দিকীর কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দের টাঙ্গাইল কুমুদিনী কলেজে অধ্যাপনায় যোগদানের মাধ্যমে। তখনও তাঁর এম.এ পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয়নি। এ কলেজে মাত্র ছ’মাস অধ্যাপনা করেন তিনি। পূর্ব পাকিস্তান পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে জুলাই মাসে মাত্র ২৪ বছর বয়সে রাজশাহী সরকারি কলেজে সর্বকনিষ্ঠ লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর একান্ত আগ্রহে এবং গবেষণার স্বার্থে ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দের ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। তারপর আবার ফিরে আসেন রাজশাহী কলেজে। এখানে তিনি দায়িত্ব পালন করেন ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের জুন মাস পর্যন্ত। তারপর বদলী হয়ে চলে আসেন ঢাকা সরকারি কলেজে এবং ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দের জুন মাস পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে দেশে ফিরে প্রথমে যোগ দেন ঢাকা কলেজে। পরে দৌলতপুর কলেজ এবং এরপর কিছু দিন ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে সিনিয়র সার্ভিসে বাংলার প্রধান হিসেবে কর্মরত থাকেন। এরপরই মন্ত্রী-পরিষদ বিভাগ তাঁকে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের জেলা গেজেটিয়ার প্রকল্পের সহ-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেন। এই সময়ে তিনিসরকারি খরচে গেজেটিয়ারের জন্য বিভিন্ন জেলা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন তথ্যসহ লোক সাহিত্যও সংগ্রহ করেন। ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের ২৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অনুমোদনক্রমে তিনি সর্বকনিষ্ঠ পরিচালক হিসেবে কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডে যোগ দেন। সংক্ষেপ করে বলা যায়, ড. আশরাফ সিদ্দিকীর কর্মজীবন বর্ণাঢ্য। এক জীবনে অনেক প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলা একাডেমিতে দীর্ঘদিন মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জগন্নাথ কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে অক্লান্ত পরিশ্রমী এই মানুষটি চাকরি জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন।সাংগঠনিক সম্পৃক্ততা: কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করলেও কমেনি তাঁর ব্যস্ততা। বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন, জড়িত রয়েছেন আজও। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান ছিলেন অনেক দিন। এর ফাঁকে দশ বছর তিনি বিটিভি দূরদর্শনের সিরিয়াল হিরামন, মেঠোসুর (দু’বছর), একতারা (এক বছর) অনুষ্ঠান করেছেন। বেতারে তাঁর দর্পণ অনুষ্ঠান পরিচালনা। ১৯৭৬-১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ছিলেন। সদা হাস্যময় ও ক্লান্তিহীন মানুষটির বিভিন্ন সামাজিক সাংগঠনিক সম্পৃক্ততার তালিকাটা বেশ বড়। এ সকল সংগঠনের কোনটিতে তিনি উপদেষ্টা, কোনটিতে সভাপতি হিসেবে যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছেন এবং করে আসছেন। দেশ বিদেশের অনেক সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে অংশ নিয়েছেন, এখনও নব যুবকের মতো ছুটে চলেন বিভিন্ন সেমিনারে অংশ নিতে। এ ছাড়া সাদত কলেজে অধ্যয়নকালে ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন এবং গ্রেফতার হন। সাহিত্যে অবদান: সাহিত্যিক হিসেবে ড. আশরাফ সিদ্দিকী একটি আলোকিত নাম। ঐতিহ্য সন্ধানী সব্যসাচী লেখক তিনি। তাঁর সকল রচনাবলী যেন সমাজের স্বচ্ছ দর্পণ, যার মধ্য দিয়ে চেনা যায় নিজেকে, দেশকে, দেশের মানুষকে। লেখালেখি জগতে পদার্পণ করেন তিনি ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলা স্কুল ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশের মাধ্যমে। সাহিত্য রচনায় সাহিত্যিককে হতে হয় গভীর আন্তরিক। একজন সুসাহিত্যিকের জন্য প্রয়োজন মৌলিকত্ব, বিষয় নির্বাচন, নিজস্ব রচনা ও বর্ণনা ভঙ্গি, দূরদৃষ্টি। এ সকল গুণের সমন্বয় ড. আশরাফ সিদ্দিকীর মধ্যে রয়েছে। রয়েছে বলেই আজ তিনি একজন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সাহিত্যিক, লোক সাহিত্য গবেষক। প্রতিটি রচনায় তিনি মানুষের দুঃখ-বেদনার কথা, হাসি-কান্নার কথা, সমস্যা, প্রেম-বিরহ, নিসর্গ, প্রীতি, স্বদেশ অনুভব, সংগ্রামের বাস্তবতা, পরাধীনতার গ্লাণি, জীবনের অনিত্যতা, লোক সংস্কৃতির কথা বলেন। আবেগ মিশ্রিত বিচিত্র অনুভূতির প্রবল উপস্থিতির প্রকাশ মেলে তাঁর রচনায়। অনেক বিরুদ্ধ বাতাস উজিয়ে তিনি স্বকীয় বিষয়ে স্বচ্ছন্দে বিচরণ করেছেন এবং করছেন। তাঁর সাহিত্য কর্ম বহুধা বিভক্ত এবং বিস্তীর্ণ। বিভিন্ন মেজাজের রচনায় বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ করেছেন। এক কথায় সাহিত্যে তাঁর অবদান বলে শেষ করা যাবে না। তাঁর লেখা ছোটগল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস, কবিতার সংখ্যা অনেক । যা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশ হয়ে আসছে। অনেক লেখার জন্য পেয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে-কাব্যগ্রন্থ : তালেব মাস্টার ও অন্যান্য কবিতা, বিষকন্যা, সাত ভাই চম্পা, উত্তর আকাশের তারা, তিরিশ বসন্তের ফুল (দুই খন্ড), কুচ বরণের কন্যে, আরশিনগর, বৃক্ষ দাও-ছায়া দাও, ঝড়-তুফানে-১ ও ২, সহস্র মুখের ভীড়ে। কিশোর কবিতা : কাগজের নৌকা, বাণিজ্যেতে যাবো আমি। গল্প গ্রন্থঃ রাবেয়া আপা, গলির ধারের ছেলেটি, শেষ নালিশ, গল্প সমগ্র। সম্পাদিত গ্রন্থ :গল্প সংকলন, গল্প সঞ্চায়ন জমিদার দর্পণ, গাজী মিয়ার বস্তানী, উন্নত জীবন, কিশোরগঞ্জের লোক কাহিনী, জহির রায়হান রচনাবলী,লুৎফর রহমান রচনাবলী, ময়মনসিংহ ও পূর্ববঙ্গ গীতিকা (৪ খণ্ড)। স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থঃ রবীন্দ্রনাখের শান্তি নিকেতন, মনে পড়ে, যাদের দেখেছি, স্মৃতির আয়নায়, এলেম নতুন দেশে, স্মৃতির মানুষ। গবেষণা গ্রন্থ : লোক সাহিত্য ‘কিংবদন্তির বাংলা, লোকায়ত বংলা, চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস, আবহমান বাংলা, এই সব মূঢ় গন মুখে, আমি তোমাদের লোক, আওয়ার ফোকলোর, আওয়ার হেরিটেজ, ফোকলোরিক বাংলাদেশ, টেশন ব্লুম বাংলাদেশ, বেগুলি ফোকলোর। শিশুসাহিত্যে যুগের কথা, সিংহের মামা ভোম্বল দাস, আমার দেশের রূপকাহিনি, ছড়ার মেলা, অসি বাজে ঝন ঝন, রূপকথার রাজ্যে। অনুবাদ গ্রন্থঃ সাগর থেকে আনা, মজার মজার অঙ্কগুলো, চলো যাই বই পড়ি, এক যে ছিল সিংহ মশাই, পিন্টুর দিগ্বিজয়, দুনিয়াটা হাতের মুঠোয়, মহানুভব লিংকন ইত্যাদি। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে গলির ধারের ছেলেটি” (গল্প) গ্রন্থ প্রকাশ হবার সঙ্গে সঙ্গেটেকন্ট বুক বোর্ড কর্তৃক নবম-দশম শ্রেণির জন্য মনোনীত হয় এবং প্রায় দুই যুগ এটি ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত থাকে। পরে প্রখ্যাত পরিচালক সুভাষ দত্ত ‘ডুমুরের কুল” নামে গল্পটির চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এই ছবিটিই বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছে মস্কো আন্তর্জাতিক পুরস্কার। পুরস্কার ও সম্মাননা: অসাধারণ প্রতিভার এই মানুষটি সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য বহু সম্মাননা ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। শিশু সাহিত্যের জন্য ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, রিভার ডাইজেস্ট পুরস্কার (যুক্তরাষ্ট্র) লাভ করেন। সাহিত্যের জন্য ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে দাউদ পুরস্কার, ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো পুরস্কার, ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের পল্লী কবি জসীম উদ্দিন সাহিত্য পুরস্কার, আন্তর্জাতিক কিন্তু সম্মাননা-১৯৭৯, ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে সুন্দরবন স্বর্ণপদক, আবুল মনসুর আহমদ পুরস্কার, ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে ফজল মাহমুদ পুরস্কার, কালুশাহ পুরস্কার, লেখিকা সবে পুরস্কার, ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ২১ শে পদকে ভূষিত হয়েছেন। পেয়েছেন নাসির উদ্দিন পদক, জ্ঞান তাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ পদক, জাতীয় সাহিত্য পদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও শান্তি পদক, ঢাকা শিল্প ফোরামদক, কুলকুঁড়ি পদক (কুমিল্লা), খেলাঘর পদক (চট্টগ্রাম), টাঙ্গাইল জেলা সমিতি পদক, ভাসানী পদক, সাহিত্যে ছায়ানীড় স্বর্ণপদক-২০০৫ (টাঙ্গাইল)সহ প্রায় পারিবারিক জীবন: ড. আশরাফ সিদ্দিকী পারিবারিক জীবনে দুই পুত্র ও তিন কন্যার আদর্শ জনক। প্রথম পুত্র নাঈদ সিদ্দিকী রুমী, সাহিত্যানুরাগী, কানাডায় পড়ালেখা করেছেন; মেধাবী ছাত্র, বর্তমানে গার্মেন্টস ব্যবসায় মহাব্যস্ত। কনিষ্ঠ পুত্র রিয়াদকন্যা নাহিদ আরেফা রীমা কৃতিত্বের সঙ্গে এম.এস.নি পান করে বর্তমানে ধানমণ্ডি সিদ্দিকী এ (কিন্ডারগার্টেন) ডাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দ্বিতীয় কন্যা তাসনিম সিদ্দিকী রিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও এম.এতে প্রথম শ্রেণি পাশ, পরে অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয় হতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বহু গবেষণা গ্রন্থের লেখিকা। কনিষ্ঠ কন্যা রিফাত আহমেদ রিকি ধানমণ্ডি সিদ্দিকী’স কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অধ্যক্ষ। উম্মে সাঈদা সিদ্দিকী ড. আশরাফ সিদ্দিকীর সুযোগ্য সহধর্মিণী ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ৩৫ বৎসর আজিমপুর স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। আমেরিকা ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা প্রশিক্ষণে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন। তিনিও একজন লেখিকা ছিলেন। তাঁর একাধিক গ্রন্থ রয়েছে। নির্দলীয় ধ্যান ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ড. আশরাফ সিদ্দিকী সাহিত্যকেই তাঁর ধ্যান ও জ্ঞান মনে করেন। সাহিত্যের মধ্য দিয়েই তিনি বেঁচে থাকতে চান মানুষের মাঝে।




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ