ফারহানা ইয়াসমিন (Farhana Yesmin)
প্রথম পাতা » জীবনী » ফারহানা ইয়াসমিন (Farhana Yesmin)
ফারহানা ইয়াসমিন শেরপুর জেলার শ্রী উপজেলায় এক সম্রাজ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামীণ পরিবেশে শৈশবকাল অতিক্রান্ত হলেও বাবা আবদুল্লাহ আল-আহসান এর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এ চাকরির সুবাদে শহরে লেখাপড়ার পাশাপাশি জন্মের পর থেকেই পৃথিবীর বহুদেশ দেখার এবং জানার সুযোগ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান, সিঙ্গাপুর, আনুষাবি, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ডসহ অনেক দেশ ঘুরেছেন। লেখাপড়ায় ডিপ্লোমা ইন আর্কিটেকচার সম্পন্নের পর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বি.এস.সি এবং ইসলামের ইতিহাস ও কৃষ্টিতে এম.এস.এস ডিগ্রি অর্জন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। প্রকৃতির প্রতি নিবিড় ভালোবাসা এবং টান ছোটবেলা থেকেই । জগৎ সংসারের প্রতিটি বিষয়ে তাঁর উপলব্ধি সূক্ষ্ম, সুনিপুণ এবং সৃজনশীল। হাইস্কুলে পড়ার সময় থেকেই কবিতা রচনার মধ্য দিয়ে তাঁর সাহিত্য জগতে আগমন। শখের বশবর্তী হয়ে লেখালেখির জগতে প্রবেশ করলেও ইতোমধ্যে তাঁর বিভিন্ন স্থানীয়, জাতীয় পত্রিকায় ও ম্যাগাজিনে বেশ কিছু কবিতা এবং ছোট গল্প প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৯ এর বইমেলায় প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভালোবাসার অরণ্যে রোদন’ প্রকাশিত হয়েছে যা পাঠকদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভিন্নতর আঙ্গিকে সত্য ঘটনা অবলম্বনে লিখা ‘ভূতের সাথে বসবাস’ শীর্ষক উপন্যাস রয়েছে। ২০২২ এর একুশে বইমেলায় ‘ভুলে থাকি কষ্টের অষ্টপ্রহর’ নামে তাঁর আরেকটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দুর্লভ গ্রন্থ ‘বঙ্গবন্ধুর শত বিষয়’ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ‘বঙ্গবন্ধু তুমি আমার ভিটেমাটি ‘ নামে একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেছেন যা ১০ টি ভাষায় একই সাথে অনুদিত হয়েছে । এই গ্রন্থের জন্য তিনি বঙ্গসভা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শাখা থেকে বঙ্গসভা সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ অর্জন করেছেন । তিনি বর্তমানে বেশ কিছু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং স্থাপত্যকর্মের সাথেও নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। স্বামী- ফরিদ আহাম্মদ বাংলাদেশ সরকারের একজন সচিব। দুই পুত্র ফাহমিদ-আল-রিফাত ও তাহমিদ-আল-সিফাত।
তথ্যসূত্র: .২০২২ সালে প্রকাশিত ‘তুমি আমার ভিটেমাটি’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত।