অধ্যাপক ডা. এমএ মান্নান

প্রথম পাতা » জীবনী » অধ্যাপক ডা. এমএ মান্নান


অধ্যাপক ডা. এমএ মান্নান
শিক্ষাবিদ
ডা. এমএ মান্নান ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে স্নায়ুরোগ চিকিৎসক হিসাবে তদানীন্তন আইপিজিএমআর তথা পিজি হাসপাতালে যোগদান করেন। ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ‘বাংলাদেশ জার্নাল অব নিউরোসাইন্স’ প্রতিষ্ঠাপূর্বক তিনি পত্রিকাটির সম্পাদক হিসাবে কাজ করছেন। ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসাইন্স’ প্রতিষ্ঠা করেন। অধ্যাপক এমএ মান্নান দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থেকে বাংলাদেশে চিকিৎসার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। লায়ুরোগের চিকিৎসায় কাঁচা সুপারির রস থেকে তাঁর আবিষ্কৃত ‘এরিকোনা’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বর্তমানে এই ঔষধ ব্যবহারে বিপুলসংখ্যকায়ুরোগী উপকৃত হচ্ছেন। অধ্যাপক এমএ মান্নান খেসারি ডাল থেকে সৃষ্ট ‘লেথারিজম’ নিরাময়ে বাঙলাদেশে প্রথম গবেষণা পরিচালনা ও সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াস চালিয়েছেন। শিক্ষা, চিকিৎসা ও সামাজিক বিষয়ে তাঁর শতাধিক প্রবন্ধ ও গবেষণামূলক নিবন্ধ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
অধ্যাপক এমএ মান্নান ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে গড়ে তোলেন সেবামূলক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান নিউরোলজি ফাউন্ডেশন; ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে গঠন কনে এপিলেপসি এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ এপিলেপসি ফাউন্ডেশন। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘নিউরন’ নামক একটি ত্রৈমাসিক শিক্ষা-সাহিত্য-বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকার প্রকাশ শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশের স্নায়ুরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ হিসাবে স্বীকৃত। রাজনৈতিক অঙ্গনেও তাঁর অবদান রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে অষ্টম ও নবম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। শিক্ষায় গৌরবজনক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক ডা. এমএ মান্নানকে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ‘একুশে পদক’-এ ভূষিত করা হয়।




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ