কামাল লোহানী

প্রথম পাতা » জীবনী » কামাল লোহানী


কামাল লোহানী
সাংবাদিক
কামাল লোহানী ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি একাধারে গ্রন্থনা, উপস্থাপনা ও আবৃত্তিতে পারদর্শিতা প্রদর্শন করেন। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম লীগের সম্মিলন উপলক্ষে তৎকালীন পূর্ববাংলার মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিনের পাবনা আগমনের প্রতিবাদ করায় কামাল লোহানী গ্রেফতার হন। তিনি ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের পক্ষে প্রচারে অংশগ্রহণ করেন এবং সে বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখে পুনরায় গ্রেফতার হন। দীর্ঘ কারাবাসের পর মুক্তি পেয়ে ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি ঢাকায় সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন। ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে সামরিক আইন জারির পর কামাল লোহানী আত্মগোপন করেন। ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের শিক্ষা আন্দোলননে তাঁর বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয় এবং তিনি গ্রেফতার হন। কারামুক্তির পর তিনি সাংস্কৃতিক সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি বিভিন্ন সময়ে ‘আজাদ’, ‘সংবাদ’, ‘পূর্বদেশ’, ‘বঙ্গবার্তা’সহ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় দায়িত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন
মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠনগুলিকে সংগঠিত করে ‘বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজ’ গঠনের প্রক্রিয়ায় কামাল লোহানী যুক্ত ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালে স্বাধীন বাংলা বেতারের বার্তা বিভাগের প্রধান ছিলেন। দেশের স্বাধীনতার পর মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা এবং প্রতিক্রিয়াশীল ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কামাল লোহানী সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা ও উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি। তিনি দীর্ঘকাল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ‘মুক্তিযুদ্ধ আমার অহংকার’, ‘রাজনীতি মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলা বেতার’, ‘আমাদের সংস্কৃতি ও সংগ্রাম’, ‘আমরা হারবো না’ এবং ‘লড়াইয়ের গান’সহ বেশ ক’টি গ্রন্থের প্রণেতা। সাংবাদিকতায় গৌরবজনক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কামাল লোহানীকে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ‘একুশে পদক’-এ ভূষিত করা হয়।




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ