আহসান হাবীব(জীবনী)

প্রথম পাতা » জীবনী » আহসান হাবীব(জীবনী)


আহসান হাবীব
আহসান হাবীব। একজন খ্যাতিমান কবি ও সাংবাদিক। সামাজিক বাস্তবতা, মধ্যবিত্ত মানুষের সংগ্রামী চেতনা ও সমকালীন যুগ- যন্ত্রণা ছিল তার কবিতা ও লেখার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। জড়িয়েছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গেও। পিরোজপুর জেলার শংকরপাশা গ্রামে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের ২ জানুয়ারি। আই. এ. ক্লাস পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। অর্থাভাবে লেখাপড়া ত্যাগ করে জীবিকার ও সাংবাদিকতা সন্ধানে কলকাতা গমন পেশায় যোগদান করেন। দৈনিক তকবীরের সহকারী সম্পাদক (১৯৩৭), মাসিক বুলবুলের সহকারী সম্পাদক (১৯৩৭-১৯৩৮) ও মাসিক সওগাতের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক (১৯৩৯-১৯৪৩) পদে দায়িত্ব পালন করেন। আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের স্টাফ আর্টিস্ট (১৯৪৩-১৯৪৮)।পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার কিছুকাল পর কলকাতা ত্যাগ করে ঢাকায় আগমন করেন। দৈনিক আজাদ, মাসিক মোহাম্মদী, দৈনিক কৃষক, দৈনিক ইত্তেফাক, সাপ্তাহিক প্রবাহ ইত্যাদি পত্রিকায় প্রায় এক দশক সাংবাদিকতা করেন। ফ্রাঙ্কলিন পাবলিকেশন্সের প্রোডাকশন অ্যাডভাইজার (১৯৫৭-১৯৬৪)। ১৯৬৪-র ১০ নভেম্বর দৈনিক পাকিস্তান (পরবর্তীকালে দৈনিক বাংলা) এর সাহিত্য পাতার সম্পাদক নিযুক্ত হন। প্রায় দুই দশক এ পদে দায়িত্ব পালন করেন। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে পাকিস্তানের নীতি ও আদর্শের সমর্থক। ১৯৬৭-র ২২ জুন পাকিস্তান সরকার বেতার ও টেলিভিশন থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারের সে সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন। ১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার বিবৃতি প্রদান করেন। আশির দশকে সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ ।সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত বুদ্ধিজীবীদের এক সমাবেশে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন এই (৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৩)। খ্যাতনামা কবি। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: রাত্রিশেষ (১৯৪৭), ছায়াহরিণ (১৯৬২), সারাদুপুর (১৯৬৪), আশায় বসতি (১৩৮১), মেঘ বলে চৈত্রে যাবো (১৯৭৬), দুই হাতে দুই আদিম পাথর (১৯৮৬) প্রেমের কবিতা (১৯৮১), বিদীর্ণ দর্পণে মুখ (১৯৮৫)। উপন্যাস ও শিশুসাহিত্য রচনায়ও সিদ্ধহস্ত। উপন্যাস: অরণ্যে নীলিমা (১৯৬২), জাফরানী রং পায়রা, রাণী খালের সাঁকো (১৯৬৫); শিশুতোষ গ্রন্থঃ ছোটদের পাকিস্তান (১৯৫৪), বৃষ্টি পড়ে টাপুর-টুপুর (১৯৭৭), ছুটির দিন দুপুরে বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬১) ও একুশে পদক (১৯৭৮) লাভ। মৃত্যু, ঢাকা, ১০ জুলাই ১৯৮৫ খ্রি.।