এম.আর খান আদনান (m.r. khan adnan)

প্রথম পাতা » জীবনী » এম.আর খান আদনান (m.r. khan adnan)


এম.আর খান আদনান (m.r. khan adnan)

এম.আর খান আদনান   বাবা আবদুর রকিব খান, মা হাবিবা খাতুন, জন্ম নারায়ণগঞ্জের দেওভোগে। বাড়ী-গাজীপুরের কালিগঞ্জের ডেমরা গ্রামে। কৈশোরে গাজীপুরের সবুজ প্রকৃতি, খাল-বিল, নদ-নদী, ফুল-ফল, ফড়িং, প্রজাপতি, পাখি, রং বেরঙের পালের নৌকা, গয়না নৌকা, কোষা নৌকা, তালের নৌকা, কলাগাছের ভেলা, পদ্ম, শাপলা, ঢেপ, পানিফল, আম, কাঁঠাল, বরই, তাল, তালের রস, খেজুরের রসে মাতাল অনুভূতি পরশ দিয়ে যেত। নদীর পাড় ভাঙ্গার শব্দ, শীতলক্ষ্যা নদীর ঢেউ প্রাণে দোলা দিয়ে যেত । গভীর বনে হরেক রকম বন্য পশুর আনা-গোনায় শরীর শিহরিত হতো। বিলে হাজারও পাখির পাখার শব্দ, টলটলে জলে হরেক রকম মাছের আনা-গোনায় প্রাণ আকুল হয়ে উঠতো। তারপর ১৯৭১- এ মুক্তিযুদ্ধ, গাজীপুরের প্রতিটি কণা, মাটি আর মানুষের মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার স্মৃতি। নেতা ছিলেন তাজউদ্দীন, ময়েজ উদ্দীন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিজ চোখে দেখা এবং তাঁর কণ্ঠ সরাসরি শোনার সৌভাগ্য জীবনকে স্মৃতিময় করেছে, ইতিহাসের সাথে সংযুক্ত করেছে। সমস্ত কিছুর সমন্বয় কৈশোরকে স্মৃতিময় করেছে।
তারপর ফুটবল, দাঁড়িয়াবান্ধা, গোল্লা-ছুটসহ লংজাম্প, হাই-জাম্প, সাঁতার লুকোচুরি জীবনকে পরিচ্ছন্নতা দিয়েছে। হা-ডু-ডু, দাবা, লুডু, ভলিবল, হৃদয়কে প্রভাবিত করেছে, যার ছাপ জীবন ও কর্মে প্রতিফলিত হয়েছে। উন্মুক্ত প্রাণের বিজয় নিয়ে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়কালীন সময় অতিক্রান্ত হয়েছে।
১৯৭১ এর বিজয়ের পরপর এস.এস.সি, তারপর যথা নিয়মে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে এইচ.এস.সি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স সহ মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন ।
ছাত্রকালীন সময় থেকে কবিতা লিখা আবৃত্তি, বিতর্কসহ বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, বিভিন্ন সভা সমিতি প্রতিষ্ঠা এবং নানান কার্যক্রমে অংশ নেয়া, পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি। পত্রিকায় লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে।
ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং নিকটতম দেশ সমূহের গুরুত্বপূর্ণ ও ভৌগলিক স্থানসমূহ দেখার সুযোগ হয়েছে । হঠাৎ বন্ধু মোজাম্মেল হোসাইন খানের উৎসাহে ও বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত লেখা উদ্ধার করে বইটি প্রকাশিত হলো। কর্মজীবনে সরকারি চাকুরি, অবসরেও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত। সংসার জীবনে স্ত্রী, দুই কন্যা, দুই পূত্র সকলে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত, কেউ অধ্যায়নরত এবং কেউ কর্মরত I
তথ্যসূত্র:. ২০২০  সালে প্রকাশিত  ‘বন্ধ চোখের স্বচ্ছ দৃষ্টি ‘  গ্রন্থ থেকে সংকলিত।