মুহম্মদ আবদুল খালেক (muhammad abdul khaleque)

প্রথম পাতা » জীবনী » মুহম্মদ আবদুল খালেক (muhammad abdul khaleque)


মুহম্মদ আবদুল খালেক (muhammad abdul khaleque)

 মুহম্মদ আবদুল খালেক ১৫টি কাব্যসহ ২৭টি গ্রন্থের প্রণেতা। ১৯৪৩ সাল ১৭ সেপ্টেম্বর (১৩৫০ বঙ্গাব্দ ৩ আশ্বিন) শুক্রবার দুপুর দেড়টায় পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। পিতা- মরহুম আবুল কাসেম, মাতা-আয়েশা খাতুন, বড়ভাই- নূর মুহম্মদ ও স্ত্রী-হাসিনা রওশন ফেরদৌস আখতার কবি আবদুল খালেক বিশ্বখ্যাত কবি হওয়ার নেপথ্য ব্যক্তিত্ব। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সওগাতুল আলমের দক্ষিণহস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে সকল নেতাদের সাথে যোগসূত্র স্থাপনে নিয়োজিত ছিলেন । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর শিক্ষা লাভ করেন। তাঁর অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘শেখ মুজিব ও বাংলা’, কষ্টিপাথর, জন্মতিথি, রত্নদীপ, একুশের বিদ্রোহ, রক্ত হলো সূর্য, শেরে বাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হক, মহাপুরুষ ফজলুল হক। তিনি সাহিত্যকণ্ঠ ও কষ্টিপাথর দুটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশ করে আসছেন। তিনি কবিতার জন্য এবং জাতীয় ব্যক্তিত্বের ওপর গবেষণা ও জীবনীগ্রন্থ রচনার জন্য মওলানা ভাসানী জাতীয় পুরস্কার- ১৯৮৭, শহীদ সোহরাওয়ার্দী জাতীয় পুরস্কার-১৯৮৮ এবং শেরে বাংলা জাতীয় পুরস্কার- ১৯৮৮ স্বর্ণপদক ও সম্মান স্মারকে ভুষিত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবনের কাব্য রক্তপ্লাবন, বিদ্রোহী বাংলা, মায়ের কন্ঠস্বর ও বিক্ষুব্ধ বাংলা গ্রন্থের মাধ্যমে কবিখ্যাতি অর্জন শুরু । ১৯৬৯-৭০-৭১ সালের গণঅভ্যুত্থান ও স্বাধীনতা সংগ্রাম কাল থেকেই তিনি ‘বিপ্লবী কবি’ নামে খ্যাত হন ।
“এসো এবার কুশাসনের কুশপুত্তলিকা দাহ করি-১৯৯০”, ৬ষ্ঠ কাব্যের জন্য কবি আবদুল খালেক দেশ থেকে ‘স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু স্বর্ণপদক-১৯৯২,’ ‘খুলনা সাহিত্য পরিষদ স্বর্ণপদক-১৯৯৩’, তাঁর ৫০তম জন্মজয়ন্তীতে ঢাকায় প্রদত্ত সংবর্ধনায় ‘স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধ পুরস্কার-১৯৯৩’ এবং খুলনার মুজিব দর্শন ও তথ্য কেন্দ্র প্রদত্ত ‘বঙ্গবন্ধু পুরস্কার স্বর্ণপদক-১৯৯৪’ এ ভুষিত হন।
এই কাব্যের জন্য ভারত থেকে আন্তর্জাতিক ‘ধ্রুপদী সাহিত্য পুরস্কার-১৯৯২’ ইংল্যান্ড থেকে ইন্টারন্যাশনাল বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার অব ক্যামব্রিজ কর্তৃক কবি খালেক ‘বিপ্লবী কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত হন। আমেরিকা ১৯৯৩ সালে কবিকে Twentieth Century Achievement Award প্রদান করে এবং বিশ্বের পাঁচশত কৃতিত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের একজন নির্বাচিত করে তাঁর জীবনী Five Hundred Leaders of Influence শীর্ষক বিশ্ব ব্যক্তিত্ব প্রামাণ্য জীবনীগ্রন্থে প্রকাশ করা হয়। তাঁর ৭ম কাব্য Let us be Mobilized in the Rally ভারতে ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয় ।
“বিপ্লবের আগুনে সত্যের আলো জ্বলুক’ ৮ম কাব্যের জন্য ১৯৯৪ সালে ভারত থেকে কবি খালেক ‘বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ পুরস্কারে ভূষিত হন।
১৯৯৭ সালে ‘যে জন্মের মৃত্যু নেই’ ৯ম কাব্য প্রকাশের পর ভারতের স্বাধীনতা দিবসে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় সংহতি সংসদ স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার পদক এবং ১৬ আগস্ট কলকাতায় কবি সুকান্ত পুরস্কারে তিনি ভুষিত হন।
শতাব্দী শেষে সল্টলেক স্টেডিয়াম যুবভারতীতে লক্ষাধিক বাঙালির উপস্থিতিতে কবি মুহম্মদ আবদুল খালেক অন্নদা শঙ্কর রায়, কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ও রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সুবিনয় রায়ের সাথে বিশ্ব বঙ্গ সম্মেলন-২০০০ পুরস্কারে ভুষিত ও সংবর্ধিত হন ।
তথ্যসূত্র: ২০১০  সালে প্রকাশিত  ‘মানুষের বিবেকই তো মহান আদালত’  গ্রন্থ থেকে সংকলিত।