ডা. এস.এম. শহীদুল ইসলাম ১৯৭২ সালে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার রাতইল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম শেখ মোহা. বাবর আলী এবং মাতার নাম আমেনা বেগম। তিনি তাঁর আট ভাই-বোনের মধ্যে চতুর্থ। জীবনের প্রথম থেকেই তিনি একজন মেধাবী ছাত্র এবং কঠোর পরিশ্রমী ছিলেন। এছাড়া লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাতেও ছিলেন অত্যন্ত চৌকস। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে দুটি মহৎ পেশা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ এবং পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ পুলিশের একজন সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (এসপি) হিসেবে তাঁর দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে যাচ্ছেন। তিনি চীনের টংজি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। এর পাশাপাশি তিনি আকুপাংচার এর উপর প্রশিক্ষণ নেন এবং দক্ষতা অর্জন করেন। তিনি শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কর্মরত থাকাকালীন ২৩তম বিসিএস-এ স্বাস্থ্য ক্যাডারে (১২তম পদ) সুপারিশপ্রাপ্ত হন এবং পরে তিনি ২৫তম বিসিএস-এ পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন এবং সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি ওয়েসিস বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক পরিচালিত মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।  বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ, ঢাকায় শান্তিনগরে অবস্থিত ‘শশী হাসপাতালে’ ভিজিটিং কনসালটেন্ট হিসাবে নিযুক্ত আছেন। এখানে ব্যথাজনিত সকল সমস্যার জন্য আকুপাংচার চিকিৎসা পদ্ধতি খুব সুন্দর ভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই অনুশীলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশিষ্ট আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ ডা এস. এম. শহীদুল ইসলাম। এই ভিন্নধর্মী চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে পরিচিত করার ক্ষেত্রে আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম একজন সত্যিকারের অগ্রগামী ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ ডা. এস,এম, শহীদুল ইসলাম। তাঁর নিপুণ হাত দিয়ে, আকুপাংচারের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। আকুপাংচার বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি এবং গত কয়েক বছর ধরে এটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁর দীর্ঘকালের আকুপাংচারের উপর দক্ষতা বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে ও বিদেশে রোগীদের সফলভাবে চিকিৎসা প্রদান করে আসছে। তাঁর দক্ষ হাতে আকুপাংচারের এক নতুন বিপ্লব উন্মোচিত হয়েছে। আকুপাংচার চিকিৎসা সম্পর্কে ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম এর হাত ধরে ইতিমধ্যে ১৯ টি আর্টিকেল বিভিন্ন বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এবং আরও ১৫টি আর্টিকেল প্রকাশনাধীন রয়েছে। তাঁর লেখা আর্টিকেলগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, আর্কাইভ অব ক্লিনিক্যাল এন্ড মেডিকেল কেস রিপোর্ট, ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব মেডিকেল কেস রিপোর্ট, জার্নাল অব মেডিকেল সাইন্স এন্ড ক্লিনিক্যাল রিসার্চ, স্কলার্স জার্নাল অব মেডিকেল কেস রিপোর্টস, স্কলার্স জার্নাল অফ অ্যাপ্লায়েড মেডিকেল সাইন্সেস, আইজেডিএমএসআর জার্নাল ইত্যাদি। ২০১৮ সালে তিনি দক্ষতা, প্রজ্ঞা, সততা, বিচক্ষণতা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর স্বেচ্ছাসেবী কাজের জন্য PPM (প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল) পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়া তিনি ২০১০ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (NSU) থেকে এমপিএইচ ডিগ্রিত প্রথম স্থান অধিকার করে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশের গর্ব এবং সেই সাথে একজন মানুষ যিনি উচ্চ মর্যাদা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে জন্মভূমির সেবা করছেন।