সেলিমা শাহনাজ ( selima shahnaz )

প্রথম পাতা » জীবনী » সেলিমা শাহনাজ ( selima shahnaz )


সেলিমা শাহনাজ

সেলিমা শাহনাজ

সদা হাস্যোজ্জ্বল, নিরহংকারী, কর্মচঞ্চল, প্রতিভাদীপ্ত অনন্য আলোকিত নারী সেলিমা শাহনাজ। তিনি অত্যন্ত ইতিবাচক চিন্তার মানুষ। পরোপকারী এই নারী আদর্শকে লালন করেন যাপিত জীবনে তা পালন করেন। কৈশোরে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ শুনে উজ্জীবিত হয়েছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে যাননি কারণ তখন তিনি শিশু। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তার পরম শ্রদ্ধা। বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা। স্বাধীনতার অগ্রণী নায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ ও লালন করে দীর্ঘ পথ চলছেন সেলিমা শাহনাজ। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রগতিশীল জাতি নির্মাণে সুদৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে চলছেন আলোর পথযাত্রী সেলিমা শাহনাজ ।

তিনি ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। সেলিমা শাহনাজ শৈশবকাল থেকেই অত্যন্ত ভদ্র, বিনয়ী, স্মার্ট এবং পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলা, গান, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তিতে অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন। ছোটকাল থেকেই তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং প্রতিবাদী। সেলিমা শাহনাজ জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ এবং লালন করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ‘সূর্যশিশু’ সাংস্কৃতিক সংগঠনের ফাউন্ডার মেম্বার হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তিনি আবার ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে ইন্টার ইউনিভার্সিটি টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতায় রাজশাহী ইউনিভার্সিটির পক্ষে অংশগ্রহণ করে “টহরাবরঃ ইর্ষব” পুরস্কার লাভ করেন। সেলিমা শাহনাজ জিওলজি এন্ড মাইনিং থেকে ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে এম.এস.সি. পাশ করেন।
সেলিমা শাহনাজ একজন টেকনোক্র্যাট। ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দের পাঁচ জানুয়ারি একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট জিওলজিস্ট হিসেবে বাপেক্স, পেট্রোবাংলায় যোগদান করেন। তিনি ক্রমান্বয়ে পাঁচটি পদোন্নতি পেয়ে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হন। সুদীর্ঘ কর্মজীবনে সততা, নিষ্ঠার কারণেই তিনি পেট্রোবাংলা, বাপেক্সের বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ডাইরেক্টর এক্সপ্লোরেশন (সাবেক)। তিনি দীর্ঘদিন ধানমন্ডি কমিউনিটি পুলিশের হয়ে কাজ করে গেছেন। বর্তমানে তিনি ধানমন্ডি ৩/এ কমিউনিটি পুলিশের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সাথেও জড়িত আছেন। তিনি ছায়ানীড়ের আজীবন সদস্য। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে তিনি লেখালেখি করেন। বিপ্লব স্পন্দিত বুকে রণাঙ্গনে ৭১’ তাঁর প্রথম গ্রন্থ। ‘বিপ্লব স্পন্দিত বুকে মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইল’ তাঁর দ্বিতীয় গ্রন্থ। ‘সচিত্র বঙ্গবন্ধু’ তাঁর তৃতীয় গ্রন্থ। সেলিমা শাহনাজের স্বামী আদিল ইয়ার খান পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। সুখের সংসারে আলোর আভা হয়ে আছে তিন পুত্র। প্রথম পুত্র প্রফেসর ড. মো. শাহরুখ আদনান খান। দ্বিতীয় আব্দুল মালেক খান, তৃতীয় পুত্র ইব্রাহীম

খান। সেলিমা শাহনাজ একজন কর্মোদ্যমী নারী। সমাজসেবায় তিনি নিবেদিত। দেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণ করা তার জীবনের ব্রত। সমাজসেবায় বিশেষ সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ ছায়ানীড়সহ বিভিন্ন সংগঠন থেকে স্মারক সম্মাননা পেয়েছেন।
তথ্যসূত্রঃ ২০২৪ সালে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ গ্রন্থ থেকে প্রকাশিত ।