মুহম্মদ শফিকুর রহমান

প্রথম পাতা » জীবনী » মুহম্মদ শফিকুর রহমান


 মুহম্মদ শফিকুর রহমান
জন্ম ১৯৪৯, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা গ্রামে। বাবা মৌলভী আবদুল হামিদ আর মা আয়েশা খাতুন। শিক্ষাজীবন মাদ্রাসা দিয়ে শুরু হলেও কামিল ডিগ্রির পরবর্তীতে স্কুল, কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক, কলাম লেখক এবং রাজনীতিবিদ । সাংবাদিক শফিকুর রহমানের পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা গ্রামে। ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ১৯৬৫ সালে কামিল হাদিস বিষয়ে ডিগ্রি, ১৯৬৭ সালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি শেষে ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। মাদ্রাসা জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ছয় দফাসহ আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ছিলেন সোচ্চার । বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে দৈনিক ইত্তেফাকে যোগদান করেন । মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন । তাঁর পাঁচ দশকের বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতার জীবনে প্রচুর অর্জন রয়েছে। যুক্তরাজ্য, জার্মানী ও জাপানে সাংবাদিকতার ওপর উচ্চতর পড়াশোনা রয়েছে। দেশ বিদেশের প্রসিদ্ধ জার্নালে গণমাধ্যম ও সমকালীন প্রসঙ্গে তাঁর অসংখ্য মূল্যবান লেখা প্রকাশিত হয়েছে। পরপর দু’দফায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সুদক্ষ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে চাদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । বঙ্গবন্ধু, বাঙালি জাতীয়তাবাদ আর অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করেন। রাজনীতির বাইরে সাহিত্য, গান শোনা আর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড তাঁর প্রিয় বিষয় । সফল সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ মুহম্মদ শফিকুর রহমান সেই ভাগ্যবানদের মধ্যে একজন যিনি একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু-কে দূর থেকে দেখছেন এবং কন্যা শেখ হাসিনার স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছেন । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন, ‘সাংবাদিক শফিক আমার সহপাঠী ও বন্ধু, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সক্রিয় কর্মী।’

তথ্যসূত্র: .২০২১  সালে প্রকাশিত  ‘শেখ হাসিনা ইতিহাসের বীরকন্যা’  গ্রন্থ থেকে সংকলিত।