খন্দকার আব্দুল হামিদ (জীবনী)

প্রথম পাতা » জীবনী » খন্দকার আব্দুল হামিদ (জীবনী)


খন্দকার আব্দুল হামিদ

সাংবাদিক ও রাজনীতিক খন্দকার আব্দুল হামিদ। অনন্য প্রতিভাধরদের মধ্যে তিনি অন্যতম একজন। জন্ম ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দের ১ মার্চ শেরপুর জেলা শহরে। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর সাংবাদিকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু। ১৯৪৬-১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কলকাতার ‘দৈনিক ইত্তেহাদ’ পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক, ১৯৫৩-১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকার দৈনিক ‘মিল্লাত’ ও ১৯৬৯-এ দৈনিক ‘আজাদ’ পত্রিকার সম্পাদকীয় বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৫৩তে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৪৯-এ জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে জড়িত হন। ১৯৫৪-তে যুক্তফ্রন্টের মনোনয়নে ও ১৯৬৫ তে মুসলিম লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে কোয়ালিশন পার্লামেন্টারি পার্টির সেক্রেটারি ছিলেন। ষাটের দশকে দৈনিক ইত্তেফাক’ পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখতেন। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে বিরোধী ভূমিকা পালন করেন। পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতিসংঘে গমন করেন এবং স্বাধীনতা বিরোধী বক্তব্য দেন। স্বাধীনতার পর ‘দালাল আইনে গ্রেফতার হন, ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে রাইটার’ পদে যোগ দেন। এ পত্রিকায় ‘স্পষ্টভাষী’ ছদ্মনামে ‘মঞ্চে-নেপথ্যে’ কলাম এবং একই সময়ে ‘মর্দে মুমিন’ ছদ্মনামে দৈনিক আজাদে উপসম্পাদকীয় লিখেছেন নিয়মিত। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের যুব উন্নয়ন মন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বাধীন সরকারের স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, শ্রম, জনশক্তি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ছিলেন তিনি। এরপর ‘দৈনিক দেশ’ পত্রিকায় সম্পাদকীয় বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের অন্যতম প্রবক্তা তিনি। সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে একুশে পদকে ভূষিত হন। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দের ২৩ অক্টোবর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।