জ্যোৎস্না বিশ্বাস

প্রথম পাতা » জীবনী » জ্যোৎস্না বিশ্বাস


জ্যোৎস্না বিশ্বাস
যাত্রা সম্রাজ্ঞী
জ্যোৎস্না বিশ্বাস। এ দেশের যাত্রাশিল্পের একজন প্রথিতযশা অভিনয় শিল্পী হিসেবে এক বাক্যে পরচিত। নিজের অনন্য সাধারণ মেধাবলে যাঁরা বাংলাদেশের যাত্রাকে শিল্পের পর্যায় উপনীত করেছেন তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম। যাত্রা শিল্প রক্ষায় তাঁর অবদান অপরিসীম। যাত্রা শিল্পের এই প্রতিভাময়ী নারীর জন্ম মানিকগঞ্জ জেলায় ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ২ মে। তাঁর পিতা গণেশচন্দ্ৰ সূত্রধর, মাতা এলোকেশী সূত্রধর । জ্যোৎস্না বিশ্বাস স্বশিক্ষিত । যাত্রাকে ভালোবেসে তিনি জীবনের সাড়ে ৫ হাজার রাত কাটিয়েছেন যাত্রামঞ্চে। স্বনামখ্যাত যাত্রাভিনেতা অমলেন্দু বিশ্বাস তাঁর স্বামী, যিনি প্রয়াত হয়েছেন। জ্যোৎস্না যাত্রামোদী ও নবিশদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। তিনি অমলেন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট, চারণিক নাট্যগোষ্ঠী, বাসন্তী মুক্তমঞ্চ নাট্য প্রতিষ্ঠান, গীতশ্রী, আইটিআই, বাবুল অপেরা, বাংলাদেশ মুক্তিসংগ্রাম সহায়ক সমিতি, বাংলাদেশ বেতার, জাতীয় যাত্রা উৎসবসহ অসংখ্য সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধের মধ্যে রয়েছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, আমার মধু অমলেন্দু, লোকজ নাট্যকলা, লোকজ নাট্যকলা যাত্রার উৎপত্তি ও বিকাশ, বাংলার লোকজ নাট্যযাত্রা প্রভৃতি ।
যাত্রাশিল্পে অনবদ্য অভিনয় এবং শিল্পের বিকাশে অসামান্য ভূমিকা রাখায় তাকে ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে কলেজ শিক্ষক পরিষদ ‘যাত্রা সম্রাজ্ঞী’ সম্মাননায় ভূষিত করে। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রামের বিটা কর্তৃক ঐতিহাসিক অভিনয় রীতির জন্য সম্মাননা, ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে যাত্রা শিল্প উন্নয়ন গবেষণা কর্তৃক সম্মাননা পদক, জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার কর্তৃক ক্রেস্ট ও সম্মাননা অর্জন করেন। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি আমরা ক’জন শিল্পী গোষ্ঠী কর্তৃক সংবর্ধিত হন। শিল্পকলায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জ্যোৎস্না বিশ্বাসকে ‘একুশে পদক-২০১১’ প্রদান করা হয় ।