আখতার সাদমানী

প্রথম পাতা » জীবনী » আখতার সাদমানী


আখতার সাদমানী
উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের অন্যতম শিল্পী
আখতার সাদমানী। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের একজন বরেণ্য শিল্পী। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের প্রসারকল্পে যারা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম। ১৯3৪ খ্রিস্টাব্দের ২ জানুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আকবর আলী, মাতা খাদিজা বেগম ।
আখতার সাদমানী কলকাতার সেন্ট জোন্স স্কুলে লেখাপড়া করেন। তাঁর শৈশব অতিবাহিত হয়েছে কলকাতায়। মাত্র ১০ বছর বয়সেই ওস্তাদ জমির উদ্দিন খাঁর অন্যতম
সুযোগ্য শিষ্য প্রফেসর ববি ড্যানিয়েলের কাছে
সর্বপ্রথম তার উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে হাতেখড়ি। তারপর তিনি ওস্তাদ ওমর খাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে যথাক্রমে ওস্তাদ আমানত আলী খাঁ, ওস্তাদ ফতেহ আলী খাঁ, ওস্তাদ মঞ্জুর হোসেন খাঁ ও ওস্তাদ ফয়েজ মোহাম্মদ খাঁ প্রমুখের সাহচর্যে আসেন এবং উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের বিশেষ তালিম গ্রহণ করেন ।
১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে সঙ্গীত প্রযোজক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু, ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে মুখ্য প্রযোজক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিশেষ শ্রেণিতে তালিকাভুক্ত উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শিল্পী ছিলেন। ‘সুর ও ছন্দ’ নামে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিক্ষার আসর, অনুষ্ঠানের গ্রন্থনা, উপস্থাপনা এবং সঙ্গীত প্রশিক্ষক হিসেবে অনুষ্ঠানটি দীর্ঘদিন পরিচালনা করেন। বেতারে কর্মরত থাকাবস্থায় তিনি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের পাশাপাশি ইসলামী ও আধুনিক গানের সুরারোপসহ বিভিন্ন আঙ্গিকে অনেক গীতিনকশায় সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী সৃষ্টি ও প্রসারকল্পে তিনি ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেন সুর রঙ একাডেমি অব ক্লাসিক্যাল মিউজিক নামে একটি শুদ্ধ সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান। বর্তমান অনেক স্বনামখ্যাত শিল্পী তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছেন।
শিল্পকলায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আখতার সাদমানীকে ‘একুশে পদক- ২০১১’ প্রদান করা হয় । ২০০৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন ।