মোঃ এমদাদুল হক

প্রথম পাতা » জীবনী » মোঃ এমদাদুল হক


 মোঃ এমদাদুল হক

মোঃ এমদাদুল হক (বাদশা) ১৯৫৬ সনের ৩ আগস্ট কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলাধীন চরকুমারিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা-মরহুম মোঃ আকবর আলী ও মাতা- মরহুমা বেগম আইনুননেছা। পিতামহ আলহাজ্জ ভোলাগাজী ব্রিটিশ আমলে ১১ বার পবিত্র হজ্জব্রত পালন করেন। ১৯৬৯ সনে তিনি দাউদকান্দি থানার জগতপুর সাধনা (বহুমুখী) হাইস্কুলের প্রথম টেলেন্টপুলে অষ্টম শ্রেণিত বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিশেষ অবদান রাখেন। ঐ সময় তিনি প্রায় দুই বছর বিভিন্ন মসজিদে ঈমামতিও করেন। পরবর্তীতে জাহাজ চালানোর কারিগরি বিদ্যা শিক্ষার জন্য জাতিসংঘের আইএলও কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ‘ম্যারিটাইম ইনস্টিটিউট ডেককর্মি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র”, নারায়ণগঞ্জ থেকে ১৯৭৪-৭৫ সনে বৃটিশ ও ফ্রান্স নেভীর কমান্ডার ত্রয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত জাহাজ চালানোর কারিগরি ২৪টি বিষয়ে (ইংলিশ মিডিয়ামে) গড়ে ৮৬ ভাগ (এক্সিলেন্ট) মার্ক পেয়ে প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং জাতিসংঘের ILO প্রদত্ত Duttons’ Navigation & Piloting, Nicholls’ Concise Guide, Volume-II বই উপহার পান। এর আগে তিনি ১৯৭৩-৭৪ সনে প্রায় দেড় বছর ঢাকার কাকরাইল থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক আবর্ত’ পত্রিকায় দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সনে তিনি বিআইডব্লিউটিএ-তে (প্রায় দশ হাজার প্রার্থীর মধ্যে মাত্র তিনজন নির্বাচিত) অফিসার ক্যাডেট (ডেক) হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭৮ সনে দিশারী জাহাজে কর্মক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মি. ইউরি জেগোরিন কর্তৃক ‘দি নিকস সীম্যানশীপ ক্রু ন্যাভিগেশন’ বই উপহার পান। ১৯৮২-৮৪ সনে খুলনায় কর্মরত থাকাকালীন খুলনা সাহিত্য মজলিসের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৫ সনে তিনি কর্মক্ষেত্র সিরাজগঞ্জ থাকাকালীন সিরাজগঞ্জ সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৬-৯০ সময়ে তাঁর কর্মক্ষেত্র আরিচাতে সাময়িক পত্রিকা ‘সংযোগ’ এর সম্পাদনা করেন। ১৯৮৯ সনে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ “চাহিদার দিগন্তে আমরা” প্রকাশিত হয়। ১৯৯৯ সনে তাঁর দ্বিতীয় গবেষণাগ্রন্থ “কষ্টই এবাদত ও জাহাজী সংলাপ” প্রকাশিত হয়। তিনি বাংলা একাডেমীর জীবন সদস্য (নং-১৮৭৫)। ২০০৪ সনে গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘তকদীর বনাম তদবীর’ এবং ‘নৌ-পথ বনাম নাবিক’ প্রকাশিত হয়। ২০০৫ সনে তাঁর নির্বাচিত কাব্যগ্রন্থ ইংরেজী অনুবাদসহ প্রকাশিত হয়। ২০০৭ সনে তাঁর নদী গবেষণামূলক বিশেষ গ্রন্থ “বাংলাদেশের নদী, নৌপথ ও নাবিকের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ” তাঁর সর্বমোট প্রকাশিত গ্রন্থ ৪২টি। তিনি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি-হোমনা-মেঘনা-তিতাস- মুরাদনগর, চাঁদপুর জেলার মতলব (উত্তর) ও মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত মেঘনা-গোমতি নদীর অববাহিকা অঞ্চলের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংঘ (মেগোবের-আসকু)-এর নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এবং কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য সাহিত্য পরিষদের সাবেক সভাপতি এবং সার্ক কালচারাল সোসাইটি ও ফোরামের উপদেষ্টা। এ ছাড়াও তিনি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম একাডেমী কবি তীর্থ চুডুলিয়ার জীবন সদস্য। ভারত কর্তৃক প্রদত্ত ৫টি আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মাননাসহ মোট ৮৬টি পদক লাভ করেন। তিনি বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (কারগিরিপুল) এবং ‘ডেক ও ইঞ্জিনকর্মী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বরিশাল ও শিপ ‘পার্সোন্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, মদারীপুর-এর সাবেক অধ্যক্ষ।