ভাষাসৈনিক কবি প্রফেসর ড. এনামুল হক

প্রথম পাতা » জীবনী » ভাষাসৈনিক কবি প্রফেসর ড. এনামুল হক


ভাষাসৈনিক কবি প্রফেসর ড. এনামুল হক


একুশে পদকপ্রাপ্ত অনন্য ব্যক্তিত্ব

পিতা: এনায়েত আলী, মাতা: রওশন আক্তার। স্ত্রী: প্রফেসর জুলেখা হক। মেয়ে: কবি তৃণা হক; পুত্র: সমুদ্র হক: জন্মস্থান ও জন্মতারিখ সুতরাপুর, বগুড়া ১ মার্চ ১৯৩৭। স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা: বাড়ি ৩২ই, সড়ক ১৭এ, বনানী, ঢাকা-১২১৩। শিক্ষা মাধ্যমিক: জেলা স্কুল, বগুড়া (১৯৫২); উচ্চমাধ্যমিক, আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া (১৯৫৬); স্নাতক সম্মান (ইতিহাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৫৯); স্নাতকোত্তর (ইতিহাস):ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬০); ডিপ্লোমা-ইন-মিউজিওলজি (১৯৬৪); এফ.এম.এ লন্ডন (১৯৭০); ডক্টরেট : অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৭৩); ভারত থেকে সম্মানজনক ডি.এসসি (১৯৯৮)।পেশা/দায়িত্ব: সহকারী অধ্যক্ষ, ঢাকা জাদুঘর (১৯৬২-৬৫), অধ্যক্ষ/পরিচালক ঢাকা জাদুঘর (১৯৬৫-৮৩)। ক্ষুদ্র বিস্মৃতপ্রায় ঢাকা জাদুঘরকে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে উন্নয়ন (তৃতীয় বিশ্বের বৃহত্তম) ও আহসান মঞ্জিলকে জাদুঘরে রূপান্তরকরণ। প্রতিষ্ঠাতা- মহাপরিচালক বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর (১৯৮৩-৯১)। ভারপ্রাপ্ত সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় (১৯৯০)। প্রফেসর অব ন্যাশনাল কালচার এন্ড হেরিটেজ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৯৫-১৯৯৮)। সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদ (১৯৫০-৬০)। সভাপতি মুকুল ফৌজ (১৯৬৬)। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জাদুঘর পরিষদ (১৯৭২-৯৫), সভাপতি আন্তর্জাতিক জাদুঘর পরিষদ এশিয়া-প্যাসিফিক সংস্থা (১৯৮৩-৮৬)। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মনুমেন্টস ও সাইটস পরিষদ (১৯৯৯-), প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাংলাদেশ গণ-সংস্কৃতি সংসদ লন্ডন (১৯৭১-৭৩)। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গীয় শিল্পকলা চর্চার আন্তর্জাতিক কেন্দ্র (১৯৯৫-)। প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক উত্তরণ (১৯৫৮-৬১), প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বাংলাদেশ ললিতকলা (১৯৭৫) ও প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক জার্নাল অব বেঙ্গল আর্ট (১৯৯৬-)। বাংলাদেশ সর্বপ্রথম জাতীয় পর্যায়ে সরকারি উদ্যোগে রবীন্দ্র জয়ন্তী ও নজরুল জয়ন্তী উদযাপন প্রচলন (১৯৯০ থেকে)। ইতিহাসবিদ, প্রত্নতত্ত্ববিদ, টিভি উপস্থাপক, কবি, গীতিকার, সুরকার । প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থ: কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য দেয় (১৯৫৭), Treasures in the Dacca Museum (1963), Nawab Bahadur Abdul Latif : His Writings and Related Documents (1968), Survey of Museums and Archaeological Education and Training in East Pakistan (1970), Islamic Arts in Bangladesh (1978), Catalogue of Special Exhibition of Islamic Arts & Crafts in Bengal (1983), Islamic Art Heritage of Bangladesh (1983), Glimpses of Mosques of Bangladesh (1985), The National Conservation Strategy for Bangladesh (1991), A Cultural Overview of Bangladesh (1991), Bengal Sculptures: Hindu Iconography Upto C. 1250 A.D. (1992), Chandraketugarh : A Treasure-House of Bengal Terracottas (2001), The Art Heritage of Bangladesh (2007); Dhaka Alias Jahangirnagar: 400 years (2009); He Had been the major contributor in and co-editor of the Sculptures in Bangladesh (2008), Nawab Bahadur Abdul Latif: A Social Refomer of 19th Century: His writing and Related Documents (2012).
আহ্বায়ক ॥ প্রথম (১৯৭৬), দ্বিতীয় (১৯৯৭), তৃতীয় (১৯৯৯), চতুর্থ (২০০১), পঞ্চম (২০০৩), ষষ্ঠ (২০০৫), সপ্তম (২০০৭), অষ্টম (২০০৯), নবম (২০১১) ও দশম (২০১৩) দ্বিবার্ষিক বঙ্গীয় শিল্পকলা চর্চার আন্তর্জাতিক সম্মিলন।
প্রথম কবিতা প্রকাশ ১৯৫৩। কাব্যগন্থ: সুবর্ণ ইত্যাদি উত্তেজনা (১৯৭৮), রমনায় বৈশাখের বাঁশি (১৯৮৫), ভীষণ সুখের নির্যাতনে (১৯৮৭), অসম্ভব ধৃষ্টতায় মগ্ন (১৯৮৯), আত্মবিশ্বাসের চিতাবাঘ (২০০২), বসে থাকি প্রবালের সিংহাসনে (২০১৩)। গীতিনৃত্যনাট্য: উত্তরণের দেশে (১৯৬০), হাজার তারের বীণা (১৯৬১), রাজপথ জনপথ (১৯৬৯), অস্ত্র হাতে তুলে নাও (১ ৯৭১), সূর্যমুখী নদী (১৯৮১), নিরবলম্বন (১৯৯০)। কাব্য নাটক: সুবিশাল অস্থিরতা (১৯৯০)। গীতিনাট্য চতুষ্টয় (১৯৯০)। শিশুতোষ কাব্য: টুকুনমণি (১৯৮৫)। পটুয়া কাব্য: মহাপুরুষের অন্তর্ধান ॥ ছহী শহীদ মুজিবনামা (১৯৯৯)।
পুরস্কার: অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৭); রমাপ্রসাদচন্দ শতবার্ষিকী পদক, এশিয়াটিক সোসাইটি কলকাতা (১৯৯৩); নাট্যসভা, ঢাকা (১৯৯২): এশিয়া সোসাইটি, নিউইয়র্ক কর্তৃক দুই দফায় ইন্টারন্যাশনাল অনারারি কাউন্সিলর নির্বাচিত (১৯৮৬-৯২); বঙ্গ সংস্কৃতি সম্মেলন সম্মাননা, কলকাতা, (২০০২); সাইফুল মুলক হাকিম হাবিবুর রহমান খান ফাউন্ডেশন পদক (২০০৩); জ্ঞান-প্রবাহ পদক, বেনারস (২০০৩); শহীদ আলতাফ মাহমুদ ফাউন্ডেশন পদক (২০০৬)। জার্মানি থেকে পৃথিবীর ৪০ জন গবেষক পণ্ডিত কর্তৃক জীবদ্দশায় প্রফেসর এনামুল হককে ফেলিসিটেশন ভলুম প্রদান (২০০৭)। বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ (২০১১), রীচ ফাউন্ডেশন এ্যাওয়ার্ড, চেন্নাই (২০১২)। একুশে পদক (২০১৪)। খণ্ডকালীন অধ্যাপনা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেন্ডেনট বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তা-মারিয়ম বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
অন্যান্য: রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে কারারুদ্ধ ১৯৫৪, ১৯৫৫। প্রথম বিদেশ গমন ১৯৬২ । শতাধিক আন্তর্জাতিক সম্মিলনে অংশগ্রহণসহ ছটি মহাদেশে চষে ভ্রমণ করেছেন। প্রতিষ্ঠাতা: এনায়েত আলী দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় ভেলুরপাড়া বগুড়া (১৯৬৭)। প্রতিষ্ঠাতা: এনামুল হক মহাবিদ্যালয় ভেলুরপাড়া বগুড়া (১৯৯৫)। প্রতিষ্ঠাতা: রওশন আক্তার জামে মসজিদ ভেলুরপাড়া বগুড়া (২০০২)।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া: একনাগাড়ে কয়েক বছর ঐতিহ্য-বিষয়ক জনপ্রিয় টি.ভি অনুষ্ঠান-এর উপস্থাপক ।
১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সর্বপ্রথম ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জাতীয় জাদুঘরে মহাসমারোহে বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিবস পালনের আয়োজক। অনুষ্ঠানে জননেত্রী শেখ হাসিনা সপরিষদ উপস্থিত ছিলেন।